যেভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল ইসরায়েল

S M Ashraful Azom
0
যেভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল ইসরায়েল

সেবা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে গাজায় হামলা বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এ খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণার আগে মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসলামী জিহাদের (পিআইজে) সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে মত দিয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকেও বারবার অনুরোধ করা হচ্ছিল।

১০ মে থেকে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শিশু রয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বিশাল এলাকা। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১২ ইসরায়েলি।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও হামাসের রকেট হামলা বন্ধে শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর চাপ বাড়ে। চলতি সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতাদের চাপ দিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিসর, কাতার ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। তবে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনকে অনিশ্চিত অবস্থায় রেখে দেয়া হচ্ছে। যদিও তারা উত্তেজনা উসকে দিতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। 

যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় গাজায় উল্লাস


গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় রাত ২টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মিসরের মধ্যস্থতায় ১১ দিন ধরে তাণ্ডব চালানোর পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এ ঘোষণায় বিভিন্ন স্থানে পতাকা নিয়ে মিছিলের পাশাপাশি বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। সেই সঙ্গে তারা বিভিন্ন মসজিদ থেকে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বক্তব্য দেন।
সংঘাতের ১১তম দিনে মিসরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবারই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল।

১০ মে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাতে গাজায় ২৩২ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ৬৫ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৯০০ জন। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় ১২ জন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুদ্ধবিরতির মিসরীয় উদ্যোগে নিঃশর্ত সমর্থন জানানো হয়।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দেন চিফ অফ স্টাফ, অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সংস্থার প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ও জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রধানরা।

২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বেশি সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে গাজায়। সাধারণ মানুষই বেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপ দিতে থাকে। বিভিন্ন দেশও যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে থাকে।

ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১১ দিনের যুদ্ধের পর অস্ত্রবিরতিকে বিজয় হিসেবে দেখছে হামাস। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শুক্রবার গাজা শহরে উদযাপনরত হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ এক নেতা।

সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সমবেত জনতার উদ্দেশে গাজা উপত্যকা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এটি বিজয়ের উচ্ছ্বাস।

ওই সময় তিনি ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দেন।



শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top