বেশ কিছুদিন ধরে একজন বাংলাদেশি সুপারহিরোর কথা ভাবছি। মনে মনে একটা আউটলাইনও দাড় করিয়ে ফেলছি।
আমার সুপারহিরো কোন এলিয়ান বা মিউট্যান্ট হবে না, বা হবে না ধনী প্রতিভাবান বিজ্ঞানী। তার কাজ মুলত আধ্যাত্মিক লাইনে-ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, কন্সট্যান্টাইন বা ভ্যাল হেলসিং এর মতো। তো শুরু করি আমার চরিত্রের আউটলাইন ডেসক্রিপশন।
আমার নায়কের নাম আলী রেজা জুলফিকার রাখব। অত্যন্ত ধার্মিক পরিবারে তার জন্ম। তার পিতা-মাতা খুবই ধার্মিক। তার দাদু খুবই বুজুর্গব্যক্তি। কথিত আছে তিনি আল্লাহ্র কাছে কোন অসুস্থ মানুষের জন্য দোয়া করলে সেই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যেত।
এছাড়া জ্বীন ভুতও তার আজ্ঞা মেনে চলত। ছোটবেলায় বাবা-মার কাছে নবী, রাসুল এবং আল্লাহ্র ওলীদের জীবনকাহিনী পড়ে পড়ে আলী রেজা জুলফিকার ধর্মের প্রতি খুবই অনুরক্ত হয়ে পড়ে।
বিশেষ করে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানীর (র.) এর ডাকাতের কবলে পড়ার ঘটনা তাকে এত আকৃষ্ট করে যে, সে তার জীবনে কখনোই মিথ্যে বলেনি।
সে তার দাদার খুব অনুরক্ত ছিল। আর নিষ্ঠার সাথে ধর্মীয় আচার পালন করত। তার দাদা তাকে খুবই স্নেহ করত, এবং মৃত্যুর আগে তার জন্য মহান আল্লাহ্র কাছে দোয়া করে যায়, যা কবুল হয়। এর মাঝে প্রিন্ত বয়সে জীবিকার উদ্দেশ্যে সে ঢাকায় আসে এবং সাংবাদিকতার চাকুরি নেয়।
ঘটনাচক্রে পুলিশের একজন গোয়েন্দারভ সাথে তাকে কাজ করতে হয় যে সবকিছুকে বিজ্ঞানের মাধ্যমে ব্যখ্যা করতে চায়, অতিপ্রাকৃত বিষয়ের উপর যার কোনবিশ্বাস নাই।
এখন এই দুই মেরুর দুই মানুষী ঢাকাবাসীকে বাঁচাবে অন্ধকার জগতের অধিবাসীদের।
ক। একনজরে আলী রেজা জুলফিকার এর ক্ষমতাসমূহঃ
১। আল্লাহ্র কাছে দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে যে কোন রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারা
২। যে কোন অতিপ্রাকৃত জীবকে দেখতে ও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারার ক্ষমতা
৩। জীনদের উপর প্রভুত্ব বিরাজ
৪। মানুষের শরীর থেকে মন্দ আত্মা বা জ্বীন বিতারণ
৫। প্রবল আত্মসংযম
খ। শারীরীক বর্ননা ও চারিত্রিক বৈশিষ্টঃ হাল্কা-পাতলা, শ্মশ্রুমন্ডিত, দৃঢ়চেতা কিন্তু বিনয়ী, আত্মসংযম প্রবল।
গ। পোষাকঃ ভেবে দেখিনি
তানজীম রহমানের অক্টারিনের সাথে মিল খুঁজে পেতে পারেন।
লেখক
গুড্ডু ভাই
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।