কাজিপুর প্রতিনিধি: প্রনোদণা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য নির্ধারিত হলেও বিতরণ তালিকায় নাম লেখিয়েছেন কাজিপুর পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার। তিনিসহ তার আটজন নিকটাত্মীয়র নাম ওই তালিকায় রয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসে প্রেরিত তালিকায় তাদের নামের রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী আপদকালীন প্রণোদনা হিসেবে নাবি জাতের ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি পটাশ ও ১০ কেজি মিশ্রসার তারা নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে কাজিপুর পৌর এলাকার ৩০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের তালিকা তৈরি করা হয়। এই প্রনোদণা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য নির্ধারিত হলেও সেখানে পৌর মেয়র ও পৌর কৃষি পুনঃবাসন কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান তালুকদার, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিপন মিয়া ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী আশরাফ আলীর নামও রয়েছে। এতে করে প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
পৌরসভার আলমপুর গ্রামের একাধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কাজিপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার বলেন, ‘ মেয়র পদতো স্বল্পকালের জন্যে। আমিতো একজন আদর্শ কৃষক। আজ আমি মেয়র হয়েছি কিন্তু আমিতো আবাদ করি। আমার নামে আগে থেকেই দুটো কৃষিকার্ড রয়েছে। এটা দোষের কি!’
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, ‘ আমাকে পৌরসভা থেকে যে তালিকা দিয়েছে সেই অনুযায়ী বিতরণ করা হয়েছে। আমি বা আমার অফিস তালিকা করিনি। করার সুযোগও নেই।’
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।