রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করে পরিবারের নিকট চাঁদা দাবি করা মামলার প্রধান আসামী রিমন ফকির (২২) নামে সেই বখাটে প্রায় তিন মাসেও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ফলে মানষিকভাবে ভেঙে পড়া ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবার ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মাঝে দিন কাটছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রিমনের হাসাপোটল গ্রামের এক প্রবাসির মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীরকে প্রায়ই প্রেম প্রস্তাব দেয়। কিন্ত প্রেমে সাড়া দেয়নি স্কুলছাত্রী। ফলে ১৮ এপ্রিল দুপুরে ওই স্কুলছাত্রী মসজিদে কোরআন শিক্ষা শেষে নিজ বাড়ির দিকে রওনা হয়। এ সময় পথিমধ্য থেকে স্কুলছাত্রীকে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় রিমন।
এক পর্যায়ে ঘরের ভেতর নিয়ে গলায় চাকু ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে রিমন। ধর্ষণের সময় রিমনের তিন বন্ধু ঘরের জানালা দিয়ে মোবাইল ফোনে অশ্লিল ছবি তোলে এবং ভিডিও ধারণ করে। এ অবস্থায় ৬ মে রাতে বখাটেরা স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মোবইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য দেখাইয়া স্কুলছাত্রীর মায়ের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেলে তারা ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১১ মে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বখাটে রিমন ফকির ও তার তিন বন্ধুকে আসামী করা হয়েছে। আদালতের আদেশে ২৩ মে ধুনট থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।