আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের অবৈধভাবে পরিষদের দায়িত্বে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ১৩২ টি প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগের ভিক্তিতে গাইবান্ধা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গত ১৪-১৫ অর্থ বছরের এলজিএসপি -২ এর আওতায় বড় শিমুলতলা মহীসন ডাক্তারের বাড়ীর সামনে ড্রেন নির্মাণ না করে উত্তোলন করা হয়েছে বরাদ্দের অর্থ। এছাড়াও একই অর্থ বছরে বড় শিমুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট ও দরজা নির্মাণ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে বরাদ্দে অর্থ। এছাড়াও সুলতান পুর বাড়াইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফলিয়া গ্রামে ইসমাইলের বাড়ী সামনে ইউড্রেন নির্মাণ না করেই বরাদ্দে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। স্থানীয় জনসাধারণ জানে না উক্ত প্রকল্পের বিস্তারিত তবে তারা অত্র এলাকার উন্নয়নের নামে যারা বিভিন্ন ভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু নিকট জানতে গেলে তাকে না পাওয়া তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।আর ইউপি সচিব বলেন উদ্বোর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। আর ইউপি সদস্যদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের না পাওয়া পাওয়া যায়নি বক্তব্য।
এসব প্রকল্পের বিষয়ে কাজ না হওয়া স্থানীয়রা বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ ধরে অত্র ইউনিয়নের উন্নয়নের নামে লুটপাটকারী ও অর্থ আত্মসাৎকারী ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছেন।
বড় শিমুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজ্জাফর হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে কোন প্রকার দরজা বা গেট প্রদান করেনি ইউনিয়ন পরিষদ। বিদ্যালয়ের নামে কেউ যদি কোন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামের অর্থ আত্মসাৎকারীদের শাস্তি হোক।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।