জামালপুর সংবাদদাতা: ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর দেওয়ানগঞ্জগামী ফিফটি আপ কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা ডাকাতের কবলে পড়েছে। এতে দুই জন মারা গেছে। আহত হয়েছে আরো দু যাত্রী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের এক জনের নাম নাহিদ (৪০)। তিনি দেওয়ানগঞ্জ সানন্দবাড়ির মিতালি বাজারের আঃ ওয়াহিদের ছেলে। তিনি নেসলে কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আরেক জনের পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা হলেন, ইসলামপুর উপজেলা মাঝ পাড়ার হেরু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া। তিনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরেকজন শেরপুর জেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে বাড়িতে আছেন।
জানা গেছে ,বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি বৃহস্পতিবার রাতে গফরগাঁও স্টেশনে থামে। এ সময় একদল ডাকাত ট্রেনে উঠে।
সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটির কারণে ট্রেনে প্রচন্ড যাত্রীর চাপ থাকায় ছাদেও যাত্রী ওঠে। ডাকাতদল অস্রের ভয় দেখিয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতি করতে থাকে। এতে যাত্রী সাধারণরা চিৎকার করলে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে যাত্রীরা হতাহত হয়।
ইতোমধ্যেই ট্রেনটি জামালপুরে পৌঁছলে স্টেশন মাস্টার আসাদুজ্জামানের হস্তক্ষেপে জিআরপি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার শেষে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তার দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত নাহিদের স্ত্রী বিপাশা বেগম (৩০) এবং যাত্রী সাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলওয়ের চলমান বিশেষ নিরাপত্তা সপ্তাহে যাত্রী কিভাবে ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে?
যাত্রী সাধারণরা আরো জানান, প্রায়ই গফরগাঁও স্টেশন থেকে ডাকাতরা ট্রেনে ওঠে ডাকাতি করে। মারা না গেলে ডাকাতির বিষয়টি জানা জানি হয় না। কিছু দিন আগে সাংবাদিক ফাগুন রেজার মোবাইল ল্যাপটপ ও টাকা কেড়ে নিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে এই ডাকাতদলের লোকেরা।
গফরগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামার সুযোগটি নিয়ে আসছে ডাকাত দল এবং অজ্ঞান পার্টির লোকেরা। এটি নতুন ঘটনা নয়।
গফরগাঁও স্টেশনে ট্রেন স্টপিস স্থগিত, নচেৎ যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চত করার দাবি জানান তারা। ডাকাতির ঘটনাটি সবাইকে বিস্মিত করেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর কারোর সম্পৃক্ততা কিংবা কর্তব্য অবহেলা আছে কি না? তারও তদন্ত ও প্রতিকারের দাবি করেন তারা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।