গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জের আঞ্চলিক পত্রিকা ও জাতীয় দৈনিকসহ বেশকিছু অনলাইন পত্রিকায় ‘উল্লাপাড়ায় চাঁদাবাজি মামলায় স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার' শিরোনামের প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ব্যক্তি আক্রোশে প্রকাশ করা হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত ঘটনা হলো - আমি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। শিক্ষক সমাজের মানুষ গড়ার কারিগর। এই মহান পেশার মানুষ কোন দিন চাঁদাবাজি করতে পারে বলে আমার ধারণা নেই।
চাঁদাবাজি নয় - মিথ্যা সাজানো কাউন্টার মামলা করে আমাকে হয়রানি করছে জনৈক প্রতারক। সকল সাংবাদিক ভাইদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনয়ের সাথে বলছি আপনারা দয়া করে একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন প্রতারক বাদীর করা মিথ্যা মামলার স্থান, তারিখ ও উক্ত সময়ে কোন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে কি-না ? প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে কথিত শাহিদুল ইসলাম নামের এই প্রতারক।
আমি আপনাদের মাঝে সত্য ঘটনাটি খুলে বলতে চাই গত ২৭ আগষ্ট -২০২০ ইং তারিখে আমার এক স্বজন অসুস্থ হলে তাকে উল্লাপাড়ার কাওয়াক ৩০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করি। শাহিদুল ওই হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদার ও আমার দুস্পর্কের একজন আত্মীয়।
সে কাওয়াক গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। শাহিদুল আমার অসুস্থ স্বজনকে হাসপাতালে দেখতে যায় ও রোগীর বিছানার পাশে বেশকিছু সময় বসে থাকেন। সে চলে যাবার পর থেকেই রোগির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। যাহার মডেল নং এ ৯। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি শাহিদুল নামের ওই প্রতারক চুরি করেছে।
মোবাইল ফোনটি পরবর্তীতে তার নিকট চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। তখন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ভয় দেখালে শাহিদুল হাসপাতালের নার্স লিপির নিকট মোবাইল ফোনটি দিয়ে বলে আপা আপনি একটু দয়া করে আমাকে বাঁচান। পরে লিপি মিথ্যা অভিনয় করে মোবাইল ফোনটি বাথরুম থেকে পাওয়া গেছে বলে রোগির স্বজনকে ফেরত দেন। এ সময় মোবাইল চুরির প্রতিবাদ করলে শাহিদুল আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। হুমকির প্রেক্ষিতে শাহিদুলের বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে ৩২৩ /৩৫৪//৩৬৪/১০৯ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি সিরাজগঞ্জ পিবিআই তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন আদালতে। উক্ত ঘটনার জেরে শাহিদুল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও শাহিদুলসহ ৫/৬ জন ভাড়াটিয়া মাস্তান নিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে আমার বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আমাকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত করে। পরে এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করি।
মামলাটি উল্লাপাড়া মডেল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও উল্লাপাড়া থানা ও সিরাজগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে এই লম্পট ও প্রতারক শাহিদুলের বিরুদ্ধে।
প্রতারকের মিথ্যা ও অসত্য মামলায় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করায় আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মোঃ ইকবাল হোসেন
সহকারী শিক্ষক
দাদপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়।
উল্লাপাড়া, সিরাজজগঞ্জ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।