কাজিপুরে বন্যায় সাড়ে তের হাজার কৃষকের ক্ষতি সোয়া কুড়ি কোটি টাকা
🕧Published on:
কাজিপুর প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনায় সৃষ্ট বন্যায় কাজিপুরের কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া কুড়ি কোটি টাকা।
গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবার কৃষক কোমর বেধে রোপা আমনের চাষ করেছিলের। কিন্তু তাতেও বন্যার ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের হতাশা আরও বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত ছয়টি ইউনিয়নসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫০ হাজার কৃষক এবার মোট ১১ হাজার চারশ পয়ষট্টি হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছিলেন।
এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ২০ হেক্টর, উফসী জাতের ৯ হাজার পাঁচশ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের চাষ হচ্ছে ১ হাজার নয়শ পয়তাল্লিশ হেক্টর।
এতে করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২৯ হাজার সাতশ ৪৭ মেট্রিক টন।
এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের চাষ হয়েছিলো ৭৮ মেট্রিকটন, উফসী ২৬ হাজার সাতশ নব্বই মেট্রিকটন এবং স্থানীয় জাতের ২ হাজার আটশ উনআশি মেট্রিকটন।
সময়মতো বৃষ্টি ও আর সঠিক পরিচর্যায় অতি দ্রæত ধানের চারা বেড়েও উঠেছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় এই ফসলের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির শিকার হয়েছেন মোট ১৩ হাজার ৩৭১ জন কৃষক।
রোপা আমন বীজতলা ক্ষতি হয়েছে ৩০ হেক্টর, রোপা আমন ২ হাজার ৫২০ হেক্টর, শাকসব্জি ১৫ হেক্টর, এবং কলার ক্ষেত ৩ হেক্টর।
কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকগণ। তাদের অনেকের আগাম লাগানো আধাপাকা ধানও পানিতে নিমজ্জিত হবার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্যে মাসকলাইয়ের বীজ সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে সাড়ে নয়শ কৃষক সরকারি প্রণোদনা পাবেন। কিন্তু এখনও বিভাজন দেয়া হয়নি।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।
কৃষকের পাশে রয়েছি। তাদের জন্যে সরকারি সহায়তাও আসছে। সামনে মাসকলাই, সরিষা চাষের জন্যে কৃষকদের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।