স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার নন্দীগ্রাম ২নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গামা।
তিনি ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের জনগণের সঙ্গে তিনি আত্মীয়তার বন্ধন গড়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে সরব রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে।
মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা করার পাশপাশি উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গণসংযোগ করছেন তিনি।
গোলাম মোস্তফা গামা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতার মূল্যায়ন করেন।
তৃণমূলে ওয়ার্ড ইউনিটে সক্রিয় সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ যোগ্যতার মূল্যায়ন করলে তিনিই পাবেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন এবং বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
নন্দীগ্রাম ২নং সদর ইউনিয়ন মডেল করবেন। সবগুলো গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।
গোলাম মোস্তফা গামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোছন গ্রামের জনসেবায় মানবিক পরিবারে ১৯৬৯ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা প্রয়াত ডাঃ চয়েন উদ্দিন সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে জনগণের সঙ্গে আত্মীয় বন্ধনে ছিলেন।
দরিদ্র মানুষের আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে যেকোনো প্রয়োজনে দানবীরের বেশে জনগণের পাশে ছিলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সরব ছিলেন ডাঃ চয়েন উদ্দিন।
তিনি প্রয়াত হওয়ার পর স্মৃতি ধরে রাখতে গোছন গ্রামে পারিবারিকভাবে ২০০৯ সালে ডাঃ চয়েন উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগার করা হয়।
পাঠকদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে বইপ্রেমী মানুষের কাছে জনপ্রিয় এই পাঠাগার। ২০১৪ সালে গণগ্রন্থাগারের আওতায় পাঠাগারটিকে সরকারি তালিকাভুক্ত করা হয়।
প্রত্যেক বছর ডাঃ চয়েন উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, পাঠক সমাবেশ এবং কৃইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রয়াত পিতার দেখানো পথেই জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে সহায়তা নিয়ে ছুটে যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গামা। পরিবারে ভাইবোন ১৫ জন।
বড় ভাই ড. মুশফিকুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মহাপরিচালক। ছোটভাই কামাল পাশা বগুড়া আজিজুল হক কলেজের লাইব্রেরিয়ান, আরেক ভাই টেলিফোন রাজস্ব সহকারি পরিচালক (অব:) মোজাম্মেল হক এবং এনামুল হক টেলিফোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অব:)।
গোলাম মোস্তফা গামা পরিবারের ৮ম ছেলে। ১৯৮৫ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতে যুক্ত হয়ে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৭ সালে শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
১৯৯৪ সালে নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হন। ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২৭ বছর ধরে ডেরাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি।
বৃহত্তর ওমরপুর আশরাফুল উলুম এতিমখানা এবং ওমরপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি। পাকুরিয়াপাড়া মাদ্রাসার সভাপতি এবং ডেরাহার মাদ্রাসার সভাপতি গোলাম মোস্তফা গামা।
এছাড়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৭ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠক হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক পুরস্কৃত হন।
তিনি সফল মৎস্য খামারি। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ মৎস্য খামারি মনোনীত হন। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মৎস্য কর্মকর্তা সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।