শফিকুল ইসলাম: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমদানী ও রপ্তানী শুরু হওয়ায় শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটেছে। সোমবার দুপুরের দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর নতুনবন্দর স্থলবন্দর ভারতের আসাম রাজ্যের আন্তর্জজাতিক সীমানা মানকারচর পাশপোর্ট গেট দিয়ে বাংলাদেশে পাথর বোঝাই কয়েকটি ট্রাক আসে।
এতে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে ।
জানা গেছে করোনার কারনে গত ১৬ মার্চ ২১ সালে আমদানী ও রপ্তানী বন্ধ হয়। কিছুদিন পর বাংলাদেশি কিছু পণ্য রপ্তানী হলেও আমদানী বন্ধ থাকে।
ফলে স্থলবন্দরে তিনটি সংগঠনের সদস্যসহ প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে।
পাশাপাশি কয়েকশ এলসি ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়ে। শ্রমিকরা তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করেন।
আমদানী ও রপ্তানীর শুরু হওয়ায় শ্রমিক পরিবারদের মাঝে খুশির বন্যা বইছে।
শ্রমিক তারা মিয়া বলেন, ভারত থেকে পাথর আসা বন্ধ থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে ছিলাম। পাথর ট্রাক ভর্তি পাথর নামায় আমি খুবি খুশি।
এলসি ব্যবসায়ী আকতার আহসান বাবু জানান, দীর্ঘদিন আমদানী ও রপ্তানী বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে তাছাড়া এখানকার শ্রমিক সদস্যরা খুবই কষ্টে ছিলেন।
স্থলবন্দরের আমদানী ও রপ্তানী আর যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নওদাপাড়া লোড আনলোড শ্রমিকলীগ সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সবুর বলেন, আমদানী ও রপ্তানী বন্ধ থাকায় আমার শ্রমিকরা অনেক কষ্টে ছিলেন। এটা চালু থাকলে তাদের কোন কষ্ট হবে না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।