দেশে শক্তিশালী যুব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি
🕧Published on:
সেবা ডেস্ক: সমাজে সমতা ও সমৃদ্ধি’র জন্য শক্তিশালী এবং দৃঢ়চেতা যুব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা’র আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবা’র বঙ্গভবন থেকে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী
যুব সমাজকে একত্রিত করা’র অন্যতম বৃহৎ প্লাটফ’রম ‘ঢাকা
ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’
এ’র বছ’রব্যাপী অনুষ্ঠানে’র জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণরাই আমাদে’র সাম্প্রতিক উন্নয়নে’র সম্মুখ সারি’র লড়াকু শক্তি। এটি আমাদে’র আশাবাদী
ও আত্মবিশ্বাসী করে যে, এই
তরুণরাই একটি উন্নত ভবিষ্যৎ
নিয়ে আসবে।
রাষ্ট্রপতি
বলেন, যুবকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো কিছু অর্জন ক’রতে
পারে। বাংলাদেশে তরুণদে’র সংখ্যাগরিষ্ঠতা ‘রয়েছে, এতে বাংলাদেশ বিশ্বে’র
অন্যতম সর্বোচ্চ জনসংখ্যাগত সুবিধায় ‘রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি
বলেন, যুবকরা সবসময়ই উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ঠিক যেমনটি তারা
কোভিড-১৯ মহামারি’র সাম্প্রতিক
প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় করেছে।
তিনি
আশা প্রকাশ করেন, তরুণরা ‘সমতা ও সমৃদ্ধি’র
জন্য সহিষ্ণুতা’র’ দর্শন আত্মস্থ ক’রবে এবং সমাজ ও
মানবতা’র জন্য অবদান রাখবে।
রাষ্ট্রপ্রধান
বলেন, বিশ্ব দ্রুত বদলে যাচ্ছে, তরুণরাই
অগ্রগতি’র বাহক এবং তারা
এ পরিস্থিতি’র সঙ্গে দ্রুত নিজেদে’র মানিয়ে নিতে পারে।
অর্গানাইজেশন
অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)
জাতিসংঘে’র (ইউএন) পরে বিশ্বে’র দ্বিতীয়
বৃহত্তম আন্ত:স’রকারি সংস্থা।
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র
সদস্য হয় এবং তখন
থেকে সংস্থাটি’র সঙ্গে একটি শক্তিশালী বন্ধন
‘রয়েছে।
ঢাকাকে
ওআইসি যুব রাজধানী ২০২০
হিসেবে বেছে নেয়া’র জন্য
ওআইসি এবং ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামে’র (আইসিওয়াইএফ)
প্রতি গভী’র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,
অভিন্ন বিশ্বাস ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
নিয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলো সহযোগিতা’র মাধ্যমে একটি সুন্দ’র আগামী
গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
তিনি
বলেন, দুটি মেগা ইভেন্ট
বাংলাদেশে’র স্বাধীনতা’র সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতি’র পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু’র ‘রহমানে’র
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে’র সময় এই অনুষ্ঠানটি
ইভেন্টগুলোকে আরো মর্যাদাপূর্ণ করেছে।
যুবক
বয়সে বঙ্গবন্ধু’র আপোষহীন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে’র
গুণে’র কথা স্ম’রণ করে;
নতুন প্রজন্মকে তা অনুস’রণ করা’র
নির্দেশনা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক
তা’র বাবা’র মতোই যুবকদে’র কাছে
অনুপ্রে’রণা’র উৎস হিসেবে নেতৃত্ব
দিয়ে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু’র
যুবক বয়সে’র বিভিন্ন কর্ম ও যৌবনদীপ্ত
তেজ এবং বাংলাদেশে’র এই
সোনালী যুবকে’র ইতিহাস সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তা’র জীবনকালে যা
সম্পন্ন করেছেন, মানবজাতি’র ইতিহাসে খুব অল্প কিছু
মানুষই তা ক’রতে পেরেছেন।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কথা বলা’র সময়
স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাস ও ইতিহাসে’র ঘটনাগুলো
চলে আসে।
রাষ্ট্রপ্রধান
আরো বলেন, জাতি’র পিতা সারাটা জীবনই
অন্যদে’র দুঃখ দূ’র ক’রতে
ও মানুষে’র সহায়তায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজে’র সুখ-দুঃখে’র ব্যাপারে
তা’র কোনো খেয়াল ছিল
না। অপরে’র দুঃখ তাকেও ব্যথিত
ক’রত।
তিনি
বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই শুধু তা’র নিজে’র
বা তা’র পরিবারে’র কথা
চিন্তা ক’রতেন না, বরং যেখানেই
তিনি অন্যায়, শোষণ ও নিপীড়ন
দেখতেন, সেখানেই প্রতিবাদ ক’রতেন।
আবদুল
হামিদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু
বাস্তবিকই মুক্তি ও ন্যায়বিচারে’র প্রতি
যুবকদে’র অনুপ্রাণিত ক’রতেন। তা’র নেতৃত্বেই যুবকদে’র
একটি অবিস্ম’রণীয় প্রজন্ম গড়ে উঠে; যারা
এ দেশে’র মানুষে’র মুক্তি এবং একটি জাতি
বিনির্মাণে’র জন্য নিজেদে’র জীবন
উৎসর্গ করে।
রাষ্ট্রপতি
বিশ্বাস করেন, যুবকরাও তা সাহসিকতা’র সঙ্গে
শত্রু’র মোকাবিলা করে, তারা শক্ত
প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং
শেষ পর্যন্ত বিজয় লাভ করে।
কা’রণ, আমা’র অভিজ্ঞতায় আমি সব সময়ই
এটা দেখেছি যে; যুবকদে’র শক্তি
সব সময় জয়লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যে’র মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প’ররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, রুশ ফেডারেশনে’র তাতা’রস্তান প্রজাতন্ত্রে’র যুব বিষয়ক মন্ত্রী তিমু’র সুলেইমানোভ, আইসিওয়াইএফ সভাপতি তাহা আয়হান এবং যুবক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে’র জ্যেষ্ঠ সচিব আখতা’র হোসেন।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।