বাংলাদেশের উন্নয়নে মালদ্বীপকে অংশীদার হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

S M Ashraful Azom
0
বাংলাদেশের উন্নয়নে মালদ্বীপকে অংশীদার হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



সেবা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপে’র জাতীয় সংসদে ভাষণ দেওয়া’র সময় মালদ্বীপে’র স’রকারি বেস’রকারি খাতকে পা’রস্পরিক সুবিধা’র জন্য বাংলাদেশে’র উন্নয়ন অংশীদা’র হওয়া’র আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘কোনো দেশ একা উন্নতি ক’রতে পারে না। আমি আশা করি আমাদে’র উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আ’রও সুসংহত হবে। বাংলাদেশ সম্ভাবনা সমৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমি মালদ্বীপে’র স’রকারী এবং বেস’রকারী উভয় ক্ষেত্রে পা’রস্পরিক সুবিধা’র জন্য আগামী ৫০ বছরে উন্নয়ন যাত্রায় আমাদে’র অংশীদা’র হওয়া’র আহ্বান জানাই।খব’র বাসসেস’র

বিশ্বে’র কোনো দেশ বিচ্ছিন্নভাবে উন্নতি ক’রতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারী সবাইকে শিখিয়েছে যে তারা প’রস্প’র নির্ভ’রশীল এবং একটি উন্নত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ বিশ্বে’র স্বার্থে তাদে’র অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি ক’রতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদে’র ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশীদে’র সাথে সহযোগিতা’র নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত ক’রছি, যেমনটি আমাদে’র জাতি’র পিতা বলে গেছেন।

বৃহস্পতিবা’র মালদ্বীপে’র জাতীয় সংসদপিপলস মজলিস বাংলাদেশে’র প্রধানমন্ত্রী’র আগমনে স্পিকা’র মোহাম্মদ নাশিদ এবং ডেপুটি স্পিকা’র তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী পরে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষ’র করেন এবং মালদ্বীপে’র সংসদে’র স্পিকারে’র সঙ্গে বৈঠক করেন।

মালদ্বীপে’র পার্লামেন্টে’র স্পিকা’র তা’র বক্তৃতায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনে’র নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশে’র নেতৃত্বদানে শেখ হাসিনা’র ভূমিকা’র ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘে’র সাধা’রণ পরিষদে’র ৭৬তম অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুগুলোতে সম্মত করাতে শেখ হাসিনাকে পাঁচ চুক্তি প্রণেতা’র অন্যতম হিসেবে বিবিসি’র রিপোর্টে’র কথাও উল্লেখ করেন। স্পিকা’র প্রধানমন্ত্রীকে একটি নৌকা’র চিত্র শিল্পকর্ম উপহা’র দেন।

সংসদে’র ভাষণে শেখ হাসিনা আ’রও বলেন, ‘আপনা’র উন্নয়নে’র যাত্রা, এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ে’র দেশে আপনা’র সফল উত্ত’রণ প্রত্যক্ষ করে আমরা বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সুন্দ’র দেশে’র গণতন্ত্রে’র প্রাণকেন্দ্র, রাজনীতি নীতি’র এই আবাসস্থলে  মজলিসে’র বিশিষ্ট সদস্যদে’র মাঝে ভাষণ দেওয়া’র সুযোগ পেয়ে তিনি গভী’রভাবে সম্মানিত।

সারাজীবন রাজনীতি’র সাথে যুক্ত এমন এক ব্যক্তি হিসেবে মালদ্বীপে’র মজলিসে উপস্থিতিতে তিনি সন্তোষ জানিয়ে বলেন, ‘আমি এখানে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশে’র সংসদে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত, যা’র সাথে আমাদে’র ঐতিহাসিক যোগসূত্র, বহুবিধ মিল, একই ধ’রনে’র চ্যালেঞ্জ এবং সমৃদ্ধি’র একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি শেয়া’র করি।

২০২১ সালটি বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে’র একটি যুগান্তকারী বছ’র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে উচ্চ পর্যায়ে’র সফ’র বিনিময়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে’র মধ্যে ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে’র বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা’র শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন দুই দেশে’র আগামী ৫০ বছরে’র যাত্রা আ’রও ফলপ্রসূ হবে এবং জনগণে’র জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনবে।

তিনি বলেন, ‘আমি মালদ্বীপে’র জনগণ এবং এ’র অগ্রগামী নেতাদে’র জন্য সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা ক’রছি

প্রধানমন্ত্রী গত মার্চে জাতি’র পিতা’র জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশে’র স্বাধীনতা’র সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করায় মালদ্বীপে’র রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা ভাষণে জাতি’র পিতা’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদে’র স্বাধীনতা’র প’র বঙ্গবন্ধু দেশে’র আর্থ-সামাজিক মুক্তি’র পথে’র ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তা’র পদাঙ্ক অনুস’রণ করে এবং এই অর্থনৈতিক রাজনৈতিক দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আমি ভাগ করে নিতে পেরে আনন্দিত যে- বাংলাদেশ গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আগে’র কয়েক বছরে গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি শতাংশে’র বেশি ছিল, মহামারী’র ঠিক আগে, আমাদে’র জিডিপি বৃদ্ধি’র হা’র ছিল দশমিক শতাংশ।

গত এক দশকে আর্থসামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে নারী’র ক্ষমতায়ন, মাতৃ এবং শিশু’র স্বাস্থ্য, আয়ুষ্কাল, জনসংখ্যা বৃদ্ধি’র হা’র, স্যানিটেশন, পানীয় জল, প্রাথমিক শিক্ষা এবং সাক্ষ’রতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদে’র উন্নয়ন যাত্রা’র ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে’র মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ে’র দেশে রূপান্ত’র করা’র লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবা’র প’র এখন লক্ষ্য হচ্ছে- ২০৩১ সালে’র মধ্যে এসডিজি’র সব লক্ষ্যমাত্রা পূ’রণ এবং ২০৪১ সালে’র মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে পরিণত করা এবং ২১০০ সালে’র মধ্যে একটি সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক ডেল্টায় পরিণত করা। আপনারা হয়ত অবগত আছেন যে জাতিসংঘে’র সাধা’রণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে ২৪ নভেম্ব’র ২০২১ তারিখে বাংলাদেশে’র এলডিসি বিভাগ থেকে উন্নয়মশীল দেশে উন্নীত হওয়া’র প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে’র অর্থনীতি এখন ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে’র এবং বিশ্বে’র ৩৪টি বৃহত্তম অর্থনীতি’র মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

উন্নয়ন তা’র নিজস্ব চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এলডিসি হিসাবে আমরা যে সুবিধাগুলি উপভোগ ক’রতাম তা প্রত্যাহারে’র পরে আমরা যে পরিস্থিতি’র মুখোমুখি হব তা মোকাবেলা করা’র জন্য, আমাদে’র ফোকাস হবে অর্থনীতি’র বৈচিত্রক’রণ এবং নতুন বাজা’র অনুসন্ধানে’র দিকে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন নিয়ে একটি প্রযুক্তি-চালিত সমাজ এবং উদ্ভাবন-নেতৃত্বাধীন প্রবৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করা’র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top