সেবা ডেস্ক: নানা কা’রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ মজা’র ও অদ্ভুত দেশ। সুযোগ পেলে সবাই যেতে চায় এই দেশে। আমিও চাই, যদিও নিজে পড়ালেখা করেছি এই দেশে। এখনও সুযোগ পেলে সময় কাটাতে ছুটে যেতে চাই এই দেশে বন্ধুবান্ধবদে’র সঙ্গে সময় কাটাতে।
দেশটি নিজ দেশে তো বটেই, অন্য দেশেও নানা ধ’রনে’র কর্মকাণ্ড আ’র পেশা’র জন্য নিয়মিত খব’র হয়। এই খবরে’র কোনোটি ভালো আবা’র কোনোটি মন্দ। এই সেই দেশ ঠিক এক বছ’র আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে যাওয়া’র প’র বিদায়ী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পে’র সমর্থকরা এই ফলাফল মানি না বলে দেশটি’র সংসদ ক্যাপিটাল হিল সদলবলে দখল করেছিল। অবশ্য তাদে’র তেমন দোষ দেওয়া যায় না, কা’রণ, ট্রাম্প আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি হেরে গেলে ফলাফল মেনে নেবেন না। এমন একটি কাণ্ড বাংলাদেশ কেন, বিশ্বে’র অন্য কোনও দেশে এখন পর্যন্ত ঘটতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটছে তা কল্পনাও করা যায় না। গত শতকে’র শেষে’র দিকে দেশটি সারা বিশ্বে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল গণতন্ত্র ‘রফতানি করা’র জন্য। এসব ‘রফতানি গ্রহণ ক’রতে বাধ্য হয়েছে সেসব দেশ যেখানে তেল বা অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আছে। এ’র শিকা’র হয়ে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া প্রভৃতি দেশ ধ্বংস হয়েছে। শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যদি কোনও দেশে’র অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলেও বিপদ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে এই চ্যালেঞ্জে’র মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে মনে হয়। এ বিষয়ে অন্য সময় আলোচনা করা’র ইচ্ছা আছে। যুক্তরাষ্ট্র এই করোনা মহামারিকালে বাংলাদেশকে টিকা দিয়ে সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে
আ’র একটি বড় পেশা
হলো কোনও দেশ, ব্যক্তি
বা গোষ্ঠী’র পক্ষে সেই দেশে’র স’রকা’র
বা কোনও সংস্থা’র কাছে
দালালি করা, যা’র আবেদনময়ী
নাম হচ্ছে লবিং বা দালালি
করা। ওয়াশিংটন ডিসিতে এ’রকম দালালি সংস্থা বা লবিস্ট ফার্মে’র
অনেক দফত’র আছে। এসব ব্যবসা’র
সঙ্গে সেই দেশে’র আইন
প্রণয়ন সংস্থা বা কংগ্রেস বা
সিনেটে’র অনেক সদস্যও জড়িত
থাকেন। এই পেশা সেই
দেশে সম্পূর্ণ বৈধ। এই দালালিতে
কোনও ন্যায়নীতি’র বালাই নেই। যে যত
ফি দিতে পারে তা’র
জন্য তাদে’র দ’রজা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।
সাম্প্রতিক
সময়ে আটটি লবিস্ট ফার্মকে
দেশে’র অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল
বিএনপি বাংলাদেশে’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফ্রন্টে বর্তমান স’রকারে’র বিরুদ্ধে মার্কিন স’রকারে’র কাছে নালিশ করা’র
জন্য কয়েক কোটি ডলা’র
ব্যয় করেছে বলে স’রকারি দল
অভিযোগ করেছে। বিষয়টি শুধু নালিশেই সীমাবদ্ধ
থাকেনি।
দেশে’র
প’ররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন
ও তাঁ’র সহকারী জাতীয় সংসদে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপনা করে দেখিয়েছেন, কীভাবে
কোন কোন দালাল প্রতিষ্ঠানকে
বিভিন্ন সময়ে কোটি কোটি
ডলা’র ব্যয় করে দেশে’র
বিরুদ্ধে ওই দেশে বাংলাদেশে’র
বিরুদ্ধে দালালি করা’র জন্য নিয়োগ দিয়েছে।
তাঁরা এসব দলিল যুক্তরাষ্ট্রে’র
স’রকারি ওয়েবসাইট হতে কপি করে
এনেছেন।
যে কেউ চাইলেই তা
ক’রতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে’র একটি
সুন্দ’র ব্যবস্থা। তথ্যে’র প্রাপ্তি ওই দেশে অনেক
সহজ।
সংসদ
ও সংসদে’র বাইরে বিএনপি’’র ও তাদে’র
সমমনা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সম্পর্কে
যখন এই দেশবিরোধী অবস্থানে’র
কথাবার্তায় গণমাধ্যম বেশ সক্রিয় হচ্ছে
তখন একদিন বিএনপি’’র এক শীর্ষ
নেতা, যিনি রাজনীতিতে এসেছেন
ছাত্রলীগে’র হাত ধরে, তিনি
সাফ জানিয়ে দিলেন বিএনপি এ’রকম কাজ ক’রতেই পারে
না। প’রদিন বিএনপি’’র দলীয় মহাসচিব
গণমাধ্যমে’র সামনে সবাইকে কিছুটা অবাক করে দিয়ে
জানিয়ে দিলেন, হ্যাঁ বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তবে তা করেছে
দেশে ‘গণতন্ত্র উদ্ধা’র’ করা’র স্বার্থে আ’র
‘গণতন্ত্র ‘রক্ষা’ করা’র জন্য। দলে’র দুজন শীর্ষ নেতা’র
একই বিষয়ে দু’’রকমে’র কথা
শুনে খোদ দলে’র নেতাকর্মীরাই
বিভ্রান্ত। বিশ্বে এমন দেশ কোথাও
খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে
সেই দেশে’রই কোনও একটি রাজনৈতিক
দল বিদেশে বসে নিজে দেশে
নানা উপায়ে স্রেফ ক্ষমতায় যাওয়া’র জন্য লাগাতা’র ষড়যন্ত্র
করে, যেমনটি ক’রছে বিএনপি বা তাদে’র মিত্র
জামায়াত। তা’র অবশ্য একটি
বড় কা’রণও আছে। ১৯৯৬
সাল থেকে ২০০১ সাল
পর্যন্ত শুধু তারা ক্ষমতায়
ছিল না। আ’র জামায়াতে’র
সমর্থন ছাড়া তাদে’র চলা
অনেক সময় কঠিন। যদি
তাদে’র স্বার্থ উদ্ধা’র ক’রতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা’র প্রয়োজন হয় তখন জামায়াতে’র
সহায়তা বড় প্রয়োজন। ২০০৬
সালে নানা ছলচাতুরি’র আশ্রয়
নিয়ে বিএনপি ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি ক’রতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। মেরুদণ্ডহীন একজন বিচা’রপতিকে প্রধান
নির্বাচন কমিশনা’র নিয়োগ দিয়েছে। একজন একাত্তরে’র যুদ্ধাপরাধীকে
নির্বাচন কমিশনা’র হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। এক কোটি ২৩
লাখ ভুয়া ভোটা’র তালিকাভুক্ত
করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ ও সমমনা
দলগুলো’র দুর্বা’র গণআন্দোলনে’র মুখে সেই পরিকল্পিত
নির্বাচন ভেস্তে যায়। আসে এক
এগারো’র স’রকা’র। ২০০৮ সালে’র নির্বাচনে
বিএনপি’’র ভরাডুবি হওয়া’র
প’র এখন পর্যন্ত তারা
ক্ষমতা’র বাইরে। বর্তমানে তাদে’র যে রাজনীতি বিদ্যমান
তাতে সামনে’র নির্বাচনেও তাদে’র ক্ষমতায় ফেরা তেমন একটা
সহজ হবে না বলে
মনে হয়। তবে তা’র
জন্য আওয়ামী লীগকে অনেক কাজ ক’রতে
হবে। গোছাতে হবে ঘ’র।
ফিরে
আসি লবিস্ট নিয়োগে’র বিষয়ে। দেশ ও জনগণে’র
প্রয়োজনে লবিস্ট নিয়োগ খারাপ কোনও বিষয় নয়।
কিন্তু এই লবিস্ট নিয়োগে’র
বিষয়টা যখন দেশে’র বিরুদ্ধে
করা হয় তখন তা
নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিভিন্ন
সময় কোনও প্রতিষ্ঠানে’র স্বার্থ
‘রক্ষা করা’র জন্য লবিস্ট নিয়োগে’র
অনেক উদাহ’রণ আছে। ১৯৯২ সালে
যুক্তরাষ্ট্রে’র সিনেট’র টম হা’রকিন (ডেমোক্র্যাট)
সেই দেশে’র কংগ্রেসে একটি বিল আনলেন,
যাতে বলা হয়েছে যেসব
দেশে শিশু শ্রম ব্যবহৃত
হয় সেসব দেশ থেকে
যুক্তরাষ্ট্র কোনও পণ্য আমদানি
ক’রবে না। বিলটি পাস
হলো। প্রমাদ গুনলো বাংলাদেশে’র উঠতি তৈরি পোশাক
শিল্প। বিজিএমইএ এবং তৎকালীন বেগম
খালেদা জিয়া’র স’রকা’র ওয়াশিংটনে লবিস্ট নিয়োগ ক’রলো বিষয়টি নিয়ে তদবি’র (লবি)
করা’র জন্য। সেই তদবি’র কোনও
কাজে লাগেনি। বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখ অল্প
বয়সী শ্রমিক বেকা’র হলো, যা’র মধ্যে
প্রায় পঞ্চাশ হাজা’র ছিল তৈরি পোশাক
শিল্পে কর্ম’রত। ইউনিসেফে’র মতে, এদে’র একটি
বিরাট সংখ্যক কর্মহীন হয়ে পতিতাবৃত্তি গ্রহণ
করে। এটি ছিল স’রকা’র
ও বিজিএমইএ-’র পক্ষ থেকে
একটি ভালো উদ্যোগ। তখন
বিএনপি’’র এটি করা’র
দায়িত্ব ছিল, যদিও তারা
তাতে সফল হয়নি।
দেশে’র
প্রতি বিএনপি’’র আসল কর্তব্যবোধে’র
ন্যক্কা’রজনক অভাব দেখা গেলো
২০১৩ সালে। তখন বিএনপি সংসদে
বিরোধী দলে’র আসনে। বেগম জিয়া বিরোধীদলীয়
নেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে’র ওয়াশিংটন টাইমসে বেগম খালেদা জিয়া’র
নামে একটি প্রবন্ধ ছাপা
হলো, যা’র শিরোনাম ছিল
‘The thankless job of saving democracy in Bangladesh’ (বাংলাদেশে গণতন্ত্র
‘রক্ষা’র বিফল প্রচেষ্টা)।
তিনি
তা’র লেখায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রফতানি হয় তা’র ওপ’র
সেই দেশ যে শুল্কমুক্তি
(জিএসপি’’র অধীনে) দেয়
তা প্রত্যাহা’র করা’র দাবি জানান। কা’রণ
হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন,
বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র নেই।
তিনি আ’রও দাবি করেন,
যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে কোনও
আর্থিক সহায়তা না দেয়। তিনি
অন্যান্য পশ্চিমা দেশে’র প্রতি অনুরোধ জানিয়ে লিখেন ‘বাংলাদেশে’র গণতন্ত্র ‘রক্ষা’র স্বার্থে’ তারা যেন বাংলাদেশিদে’র
তাদে’র দেশে ভ্রমণে’র নিষেধাজ্ঞাসহ
অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বন্ধ
ক’রতে বললেন বাংলাদেশকে দেয় সব ধ’রনে’র
সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা।
একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ বা ব্যক্তি দেশে’র
স্বার্থে’র বিরুদ্ধে এমন কথা লিখতে
পারেন বা বলতে পারেন,
তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।
সব মহল হতে এই
লেখা নিয়ে যখন ধিক্কা’র
উঠলো, যথারীতি বেগম খালেদা জিয়া
এই লেখা তাঁ’র নয়
বলে জানালেন। তাঁ’র দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশে’র একটি জনপ্রিয় অনলাইন
নিউজ পোর্টালে’র সম্পাদক ওয়াশিংটন টাইমসে’র কার্যনির্বাহী সম্পাদক ডেভিড এন জেকসনে’র সঙ্গে
যোগাযোগ ক’রলে তিনি লেখাটি যে
বেগম খালেদা জিয়া’র তা নিশ্চিত করেন
এবং আ’রও বলেন, লন্ডনভিত্তিক
একজন আন্তর্জাতিক লবিস্ট মার্ক পা’রসি বেগম খালেদা জিয়া’র
পক্ষে লেখাটি তাদে’র কাছে প্রে’রণ করেন।
তিনি আ’রও জানান, এই
লেখাটি প্রকাশিত হওয়া’র প’র তারা নিয়মিত
পা’রসি’র সঙ্গে যোগাযোগ ‘রক্ষা করে চলেছেন। পা’রসি
একটি ব্রিটিশ লবিস্ট ফার্ম বিটিপি অ্যাডভাইজার্সে’র পার্টনা’র। তাদে’র ব্যবসা দুনিয়াজুড়ে।
২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে’র
‘রফতানি বিষয়ক যেসব সুযোগ-সুবিধা
পেতো তা বন্ধ করে
দিলে বেগম খালেদা জিয়া’র
প্রবন্ধ ও বিষয়টি সংসদে
তুমুল সমালোচনা’র মুখে পড়লে বেগম
খালেদা জিয়া লেখাটি তাঁ’র
নয় বলে আবা’রও পুনরুক্তি
করেন এবং বলেন, তাঁ’র
সুনাম ক্ষুণ্ন ক’রতে এসব অভিযোগ আনা
হয়েছে। এই লেখা’র সঙ্গে
তা’র কোনও সম্পর্ক নেই।
সংসদে প্রস্তাব করা হয় বেগম
খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকা’র কা’রণে
রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র জন্য বিচা’র হওয়া
উচিত। এ’র একদিন প’র
বিএনপি’’র শীর্ষ নেতা
বেগম খালেদা জিয়া’র একসময়ে’র আইন ও সংসদ
বিষয়কমন্ত্রী (বর্তমানে প্রয়াত) ব্যারিস্টা’র
মওদুদ আহমদ সংসদে স্বীকা’র
করেন, ওয়াশিংটন টাইমস-এ’র প্রবন্ধটি বেগম
খালেদা জিয়া’রই লেখা। তিনি আ’রও বলেন,
বেগম খালেদা জিয়া’র এই প্রবন্ধ লেখা
কা’রণ হচ্ছে বাংলাদেশে’র বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য হিতাকাঙ্ক্ষী দেশগুলো
যেন বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র ‘রক্ষা ক’রতে’ এগিয়ে আসেন। স’রকা’র ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, সম্প্রতি এই আটটি লবিস্ট
ফার্ম নিয়োগে’র অর্থ কেমন করে
কোথা থেকে এই লবিস্টদে’র
দেওয়া হয়েছে তা তদন্ত করা
হবে।
দেশে’র
স্বার্থে’র বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করা বিএনপি’’র
ক্ষমতায় যাওয়া’র ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে না।
আ’রও নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে
তারা লিপ্ত হবে। সঙ্গে থাকবে
তাদে’র পু’রনো ও নতুন মিত্ররা।
ইতোমধ্যে তারা পাকিস্তানে’র ওপ’র
ভ’র করেছে। এই বিষয়ে পরে
আলোচনা করা’র ইচ্ছা ‘রইলো। বাংলাদেশে’র দুর্ভাগ্য, বিএনপি এত দীর্ঘ সময়
পরেও একটি প্রকৃত অর্থে
রাজনৈতিক দল হতে পা’রলো
না। তাদে’র রাজনীতি হচ্ছে শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক। তারা
প্রয়োজনে যেকোনোভাবে ক্ষমতায় যেতে দেশ ও
জাতি’র চ’রম শত্রুদে’র সঙ্গে
হাত মিলাতে কসু’র করে না। অথচ
যেকোনও দেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী
করা’র জন্য একাধিক দেশপ্রেমিক
রাজনৈতিক দল থাকাটা প্রয়োজন।
দুঃখজনক হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায়
এসেছে তখনই দেশে ও
দেশে’র বাইরে একটি বিরাট অপশক্তি
একজোট হয়ে দিনরাত পরিশ্রম
করেছে কীভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। তাদে’র
কথা হচ্ছে ‘শয়তান’ও বাংলাদেশ শাসন
ক’রবে, তবু আওয়ামী লীগ
নয়। আ’র ‘শয়তানে’’র
সংখ্যা তো বাংলাদেশে জ্যামিতিক
হারে বাড়ছে।
লেখক:
আবদুল মান্নান
গবেষক ও বিশ্লেষক।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।