জামালপুর সংবাদাদাতা : জামালপুরের মেলান্দহ মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। গত ৪ দিন যাবৎ ভেক্যু মেশিন দিয়ে এই মাটি নেয়া হচ্ছে।
ভেক্যু মেশিনের মালিক আজহারুল ইসলাম (২৫) এবং সুমন মিয়া (২৫) জানান-স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এবং হেড মাস্টারের অনুমোতিতেই এখান থেকে মাটি তোলা হচ্ছে।
তারা মাটি বিক্রির কথা বল্লেও; মাটি ক্রয়-বিক্রয়ে টাকার পরিমান বলতে রাজি হননি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই জমি থেকে টপসয়েলসহ গভীর করে মাটি উত্তোলনের ফলে পাশের জমিগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এটা কোন নিয়ম হতে পারে না। স্কুলের শিক্ষক-ম্যানেজিং কমিটির সাথে আঁতাত করে মাটি হরিলুটের মিশন গড়া কতটুকু সমীচিন তা বলার কেও নেই।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এলাহী আখন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে কেও অবগত করেননি।
মাহমুদপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের সেল ফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এসএমসির সভাপতি আবু সাইদ সাদা জানান-এতদিন হরকা বিলের ১ বিঘা জমি বেহাত ছিল। জানাজানি হবার জমিটি স্কুলের আওতায় চলে আসে।
মাটি বিক্রির বিষয়ে মাস্টাররাও দ্বিমত করেননি। আমরাও করিনি। প্রশাসনিকভাবে অনুমোদন নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান-কৃষি জমি থেকে টপসয়েল তোলা হলে সেই জমির শক্তি বলতে কিছুই থাকে না। টপসয়েল শেষ হলে কৃষি বিপর্যয়ের আশংকা থাকে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।