নন্দীগ্রামে যুবতীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
🕧Published on:
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত বিজয় হোসেনকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে পৌর সদরের কলেজপাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি।
ঘটনার ৯দিন পর গতকাল রোববার বিকেলে বগুড়া শহরের খোকন পার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সুত্রমতে, শেরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী যুবতীকে (২১) প্রেমের ফাঁদে ফেলে নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে কথিত সাধু শাহাদত হোসেন সাজু (৪২) বিয়ের প্রলোভনে শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিয়ে আসেন। যুবতীকে নন্দীগ্রাম সদরের কলেজপাড়া এলাকার শেষ সীমানায় নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে অসামাজিক কার্যকলাপ সন্দেহে স্থানীয় জনতা ওই যুবতী ও প্রেমিক শাহাদত হোসেন সাজুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরেরদিন শনিবার ওই যুবতী বাদী হয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় শাহাদত হোসেন সাজুকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এছাড়া সহযোগিতার অভিযোগে ওইদিনই পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সুমন (২৬) ও ব্যবসায়ী হযরত আলীকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পৌর কৃষকলীগের সভাপতি সুমনকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতারকৃত হযরত আলীকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী আছিয়া আকতার। অন্যদিকে, গণধর্ষণে সরাসরি জড়িত তিনজন পলাতক ছিল। ঘটনার ৯দিন পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বগুড়া শহরের খোকন পার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি বিজয় হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন্দীগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম বলেন, গণধর্ষণে জড়িত পলাতক আরও দুই আসামিকে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।