বকশীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় জেলে ঢুকানোর হুমকি

S M Ashraful Azom
0
বকশীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় জেলে ঢুকানোর হুমকি



 : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক সহকারী অধ্যাপকের প্রতারণার শিকার হওয়ায় ন্যায় বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি অসহায় পরিবার।


মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর বাজার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন নাজমা খাতুন ও তার অসহায় পরিবার। 


সংবাদ সম্মেলনে নাজমা খাতুন জানান, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ফুলদহ পাড়া গ্রামের ছাইদুর রহমানের ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ রুবেলের সাথে তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনের দীর্ঘ দিন ধরে পল্ট্রি ফিড ব্যবসার শেয়ার ছিল। সেই সুবাধে মুতাসিম বিল্লাহ রুবেল ব্যবসায়ী পার্টনার তোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা নেন। ২০১৬ সালে তোফাজ্জল হোসেন মারা গেলে তার কন্যা নাজমা খাতুন সেই টাকার জন্য মুতাসিম বিল্লাহ রুবেলকে দিতে বলেন। রুবেল প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা ওই পরিবারকে দেবেন বলে ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করেন। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে মুতাসিম বিল্লাহ রুবেল বকশীগঞ্জ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লি: এর শাখা হতে ১৯ লাখ টাকার একটি চেক নাজমা বেগমকে প্রদান করেন। ব্যাংকে সেই টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়ে যায়। এরপরও তিনি কোন টাকা না দিয়ে টালবাহানা করেন।

এমতাবস্থায় নাজমা বেগম , তার মা, চার বোন ও ভাইকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকেন। কোন উপয়ান্তর না দেখে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আর এতেই ক্ষেপে যান মুতাসিম বিল্লাহ রুবেল। মামলা দায়েরের পর তিনি তার এক আত্মীয় ( জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ) এর ভয় দেখিয়ে নাজমা খাতুনকে জেলে ঢুকানোর হুমকি প্রদান করেন। একারণে মামলার কোন অগ্রগতি হচ্ছে না।

নাজমা খাতুন বলেন, আমি ও আমার অসহায় পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছি। রুবেল আমাদের পরিবারের সাথে যে প্রতারণা করেছে আমরা তাঁর ন্যায্য বিচার চাই। আমরা নিরাপত্তা চাই। 

সংবাদ সম্মেলনে নাজমা খাতুনের মা ইয়েছা বেগম, বোন সালাম খাতুন, নাছিমা খাতুন, তুষ্টি খাতুন উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top