সাদুল্লাপুরে এলজিইডির রাস্তার কাজে অনিয়ম প্রধান প্রকৌশলীকে অভিযোগ

S M Ashraful Azom
0
সাদুল্লাপুরে এলজিইডির রাস্তার কাজে অনিয়ম প্রধান প্রকৌশলীকে অভিযোগ



 : রাস্তার কাজে ৩ ইঞ্চি খোয়া না দিয়ে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাত করেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনজ, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান ও ঠিকাদারের বিরূদ্ধে। 

রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগে গত ৮ মে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান সরকার। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লি সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সাদুল্লাপুর উপজেলার জামলারজান থেকে ঠুটিয়াপাকুর সড়কের ৪.২২৪ কিলোমিটার থেকে ১০.০৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত মোট ৫.৮২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামতকরনের কাজ চলছে। ওই রাস্তায় ইতিপূর্বে ২০১৭-১৮ সালে ৬ ইঞ্চি খোয়া দ্বারা ডবিøউবিএম করে নতুন কার্পেটিং কাজ করা হয়েছিল। রাস্তাটি বন্যা ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় মেরামতকরনের জন্য দরপত্র আহবান করে গত ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর রাসেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। 

মেরামত কাজে নতুন করে  ৩ ইঞ্চি খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে পুরানো খোয়া আলগা করে রোলার করে তার উপর প্রায় ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়। যেখানে নতুন কোন খোয়া ব্যবহার না করেই ঠিকাদারকে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বিল দেওয়া হয়। 

এ ছাড়া কার্পেটিং কাজে পুরানো কার্পেটিং এর মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, রাস্তাটিতে ডবিøউবিএমের পুরুত্ব মোট ৯ ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ডবিøউবিএমে নতুন কোন খোয়া ব্যবহার না করেও ঠিকাদারকে প্রথম চলতি বিল প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যা সুস্পষ্ট দুর্নীতি বলে প্রমাণ হয়। ইদিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান সরকার বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে সুষ্ঠুভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় ওই অভিযোগে। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পরও কোন তদন্ত হয়নি। 

এসব বিষয়ে রাসেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী এবং সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনজ এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এসব বিষয়ে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম বলেন, খোয়া না দিয়ে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাতের অভিযোগটি সঠিক নয়। নিয়ম অনুযায়ী কাজ চলছে। অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া কাজ চলাকালীন একজন প্রকৌশলী তদারকি করেন। 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top