ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট ব্রিজ ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় ৫ দিন বন্ধ ঘোষণা

🕧Published on:

ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট ব্রিজ ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় ৫ দিন বন্ধ ঘোষণা



 : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকার কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী মহাসড়কের পাইকেরছড়া এলাকায় দুধকুমর নদের ওপর বহুবছর আগে নির্মিত সেতু সোনাহাট ব্রিজে যান চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 


এ অবস্থায় ওই সেতু মেরামত ও সংস্কারের জন্য আগামী ৫দিন এর ওপর দিয়ে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। 


জানা গেছে এ সড়কটি স্থানীয় সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগের হওয়ায় এর কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেন। সড়ক বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জানা যায়, আগামী ২২ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়ে সংস্কার কাজের জন্য এ ব্রিজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 


এ সময় স্থলবন্দর থেকে ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে স্থলবন্দরগামী সকল পরিবহণসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। 


জানা গেছে, অত্যন্ত প্রাচীন এ ব্রিজটি ব্রিটিশ আমলে বাংলা-আসাম রেলপথ নির্মাণের সময়  ৬০০ মিটার দৈর্ঘের সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজটি নির্মিত হয়। 

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ব্রিজটির ৩টি গার্ডার ভেঙে দেয়া হলে যুদ্ধের পর এখান থেকে ২টি গার্ডার খুলে নিয়ে তিস্তা রেলওয়ে ব্রিজে স্থাপন করে কর্তৃপক্ষ। পরে এ ভাঙা এবং খুলে নেয়া অংশগুলোতে স্টিলের বেইলি ব্রিজ লাগিয়ে সকল প্রকার যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। 

এরপর ২০১৮ সাল থেকে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল ক্রমেই আরো বেড়ে যায়।বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে এ ব্রিজ দিয়ে অধিক পরিমাণে পাথর ও কয়লা নিয়ে বিভিন্ন পণ্যবাহী যান চলাচল করলে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

 এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা মেরামত করা হচ্ছে। 

পাশাপাশি এই রেলওয়ে ব্রিজের পাশে সড়ক সেতুর নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে। আগামী ২০২৪ সালে সড়ক সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায় বলে তিনি জানান।



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।