নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের সরিষাবাড়ী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথি হাসপাতালে ডিউটি না করে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ১৪ আগস্ট রবিবার সকাল ১১ঃ২৫ মিনিট থেকে ১১ঃ৫০ মিনিট পর্যন্ত তিনি ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিজিট নিয়ে রোগী দেখেছেন। ফলে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে রোগীরা হাসপাতালের আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকে তার কাছে সেবা নিতে যাচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথি হাসপাতালে হাজিরা দিয়ে রোগী দেখার উদ্দেশে ক্লিনিকে গিয়ে বসেন। তবে নিয়ম রয়েছে সকাল ১০ টা থেকে ১ পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দিবে ডাক্তাররা। হাসপাতালের প্রায় ডাক্তাররা মানলেও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই যোগদানের পর থেকেই মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথি হাসপাতালে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে অফিস চলাকালীন সময়ে ডিউটি না করে হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বিভিন্ন ক্লিনিকে ভিজিট নিয়ে রোগী দেখেন ও আল্ট্রা করেন । ১৪ আগস্ট রবিবার সরিষাবাড়ী হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে অফিসের ডিউটি না করে হাসপাতালের সম্মুখে ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রা করছেন ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ বদরুল ইসলামকে জানানোর চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না তার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয়। পরবর্তীতে ডাঃ তিথি বের হওয়ার সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও শুরু করলে ক্লিনিকের সামনে দাঁড়ানো অটো বাইকের আড়ালে চলে যায় তিনি । তিথির এমন কর্মকান্ডে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথির কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য টেস্ট প্রদান করে ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে রোগীরা। বিষয়টি জামালপুরের সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথি কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
কথা হলে সরিষাবাড়ী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেবাশীষ রাজবংশী এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে জানান, টিএস স্যারকে জানান। বিষয়টি দেখতেছি।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বদরুল হাসান মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কথা হলে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ প্রণয় কান্তি দাস বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারকে জানান। আমিও দেখতেছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।