সেবা ডেস্ক : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যা মামলার দুই নম্বর পলাতক আসামীকে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা থেকে গ্রেফতার জামারপুর ক্যাম্পের র্যাব ১৪।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৪/০৮/২০২২ খ্রিঃ তারিখ অনুমান সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার ঘটনা। মামলার বাদী ফখরুল ইসলাম (২২) তার হাওলাদি পাওনা ২০০০/- টাকা চাইতে আসামীগণের বাড়িতে গেলে তাকে ঘটনাস্থলে যাইতে বলে। বাদী তাদের কথামত জনৈক রংমিয়ার আবাদী জমিতে অপেক্ষা করাকালে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ফালা, ধারালো রাম দা, কোপ দা, বাকী দা, রড, পাছা, লাঠি, সাবল, পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করিয়া বাদীকে মারধর শুরু করে। বাদীর ডাক চিৎকারে তার পিতা ভিকটিম হাবিবুর রহমান ও চাচা সোলায়মান শেখসহ পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসিলে ধৃত ০২ নং আসামী সোহেল @ বিএনপি (২৮) এর হাতে থাকা ফালা দিয়ে ভিকটিম সোলায়মান শেখ এর বুকের বামপাশে পার মারিলে ভিকটিম সেখানে লুটিয়ে পড়ে। অপর ভিকটিম বাদীর পিতা হাবিবুর রহমান তার চাচাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে ৩৩ নং আসামীর পাইপের আঘাতে মাটিতে পড়িয়া গেলে ১৬ নং আসামীর ফালা দিয়ে গভীরভাবে ক্ষত করে, ৫ নং আসামীর বাকী দায়ের কোপের আঘাতে এবং অন্যান্য আসামীরা লাঠি দিয়ে পিটাইয়া মাটিতে ফেলিয়া দেয়। এছাড়াও অন্যান্য আসামীরা ১নং,২নং ও ৩নং সাক্ষীদেরকে এলোপাতারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ইতিমধ্যে স্থানীয় আরো লোকজন বাদী, ভিকটিম হাবিবুর রহমান, সোলায়মান শেখ, ১ নং, ২নং এবং ৩নং স্বাক্ষীদেরকে উদ্ধার করিয়া জরুরী ভিত্তিতে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম হাবিবুর রহমান ও সোলায়মান শেখদ্বয়কে মৃত ঘোষনা করে এবং অন্যান্য আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে। ভিকটিম হাবিবুর এর ছেলে বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর র্যাবের নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এম. এম. সুবজ রানা এর নেতৃত্বে র্যাবের আভিযানিক দল অদ্য ১৮/০৮/২০২২ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকায় শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানাধীন কুরুয়া এলাকা হতে উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ০২ নং আসামী মোঃ সোহেল @ বিএনপি (২৮), পিতা- হাকিম উদ্দিন @ গেল্লা, সাং-তিলক পূর্বপাড়া, থানা-দেওয়ানগঞ্জ, জেলা জামালপুরকে’কে দেওয়ানগঞ্জ থানার মামলা নং-২১/২৪০ তারিখ ১৪ আগষ্ট ২০২২ ইং, ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০মূলে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রান্তিলগ্নে “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশ ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। বিভিন্ন ধরনেল চাঞ্চল্যকর অপরাধের স্বরূপ উৎঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, মানব-পাচার, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে; যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।