বকশীগঞ্জের সিমান্ত এলাকায় হাতি আতংকে অতিষ্ট জনগন

S M Ashraful Azom
0

: জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্ত জুড়ে হাতির আতংক বিরাজ করছে। হাতির আতংকে নির্ঘুম রাত পার করছে বকশীগঞ্জের সিমান্ত এলাকায় বসবাসকারী পাহাড়ী জনগোষ্ঠি। গত কয়েকদিন যাবত সিমান্ত এলাকায় ভারতীয় হাতির উপদ্রব আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বকশীগঞ্জের সীমান্ত জুড়ে হাতি আতংক
বকশীগঞ্জে সিমান্ত এলাকায় হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ফসল



গত সপ্তাহ থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক হাতির দল বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালিঝুরি সিমান্ত  দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং এগুলো এখন বন-জঙ্গলে অবস্থান করছে। রাত হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে।


হাতির তাণ্ডবে সিমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া, গারোপাড়া, টিলাপাড়া, যদুরচর, সাতানীপাড়া ও মৃর্ধাপাড়ার ৬ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নির্ঘুম রাতযাপন করছে।


স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বন্য হাতির পাল বাংলাদেশ-ভারতের সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। প্রতিবছর হাতির দল সিমান্ত দিয়ে রাতে প্রবেশ করলেও দিনের আলো ফুটার সাথে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কিন্তু এবার হাতিগুলো আর ভারতে ফেরত যাচ্ছে না। সোমনাথপাড়া, গাড়োপাড়া, টিলাপাড়ায় পাহাড়ের চুড়ায় দিনের বেলা অবস্থান করে আসছে। রাত হওয়ার সাথে সাথে লোকালয়ে প্রবেশ করছে হাতির দল।


সোমবার রাতভর হাতির তান্ডবে বালিজুরি গ্রামের ১০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান নষ্ট হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাড়ীর ফলজ ও বনজ বৃক্ষও ক্ষতি করে। পরে ভোর বেলায় হাতির দলটি পাহাড়ের চুড়ায় চলে যায়।  


এদিকে স্থানীয় বন বিভাগও হাতি তাড়ানোর কাজে বাঁধা দিয়ে আসছে। বন বিভাগের বাঁধার কারণে ক্ষতির পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


গত বছর হাতি তাড়ানোর জন্য বৈদুত্যিক জেনারেটর, পটকা ও আগুণ ব্যবহার করতো স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু এবার সেগুলোও ব্যবহার করতে দিচ্ছে না স্থানীয় বন বিভাগ।


এ বিষয়ে বালিজুরি রেঞ্জের বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, বৈদুত্যিক ফাঁদ ব্যবহার করলে হাতি মারা পরে সে কারণে বৈদুত্যিক জেনারেটর এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আগুন বা শব্দ করে হাতি তাড়াতে কোন বাঁধা নেই।


এদিকে হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে, যারা হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তাদের আর্থিক সহযোগিতার কথাও জানান এই বন কর্মকর্তা।


এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তি রায় জানান, আপাতত হাতির উপদ্রব হতে বাঁচতে এলাকা থেকে স্থানীয় মানুষদের সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top