শফিকুল ইসলাম : অবশেষে পল্লী বিদ্যুতের স্টাফ মো, আবু হামজা অরফে পলাশ হোসেন (৩৫)সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন রিপন নামের এক ভাংড়ি ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারের একটি ভাংড়ির দোকানে। ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি।
অভিযোগকারি, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিলমারী উপজেলার খন্দকারপাড়া মৃত রহমত আলীর ছেলে দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবত উপজেলার কর্তিমারী বাজারে ভাংড়ি ব্যবসা করে আসছে। ঘটনার দিন শনিবার সকাল ৮ টার সময় রিপনের ভাংড়ি গোডাউর থেকে মুজুদকৃত মালামাল ট্রাক বোঝাই করে ঢাকার উদ্দ্যেশে যাওয়ার সময় পল্লী বিদ্যুতের স্টাফ আবু হামজা অরফে পলাশ হোসেন, কাশিয়াবাড়ি গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মাসুম মিয়া, একই গ্রামের বারেক দেওয়ানীর ছেলে মঞ্জ মিয়া এবং কর্তিমারী বাজারপাড়া গ্রাামের সামাদের ছেলে দুলু মিয়া গাড়িটি আটক করে।
এসময় পলাশ পল্লী বিদ্যুতের ভুয়া ডিজিএম পরিচয় দেন। তার অভিযোগ ওই গাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারসহ বেশকিছু তাঁর রয়েছে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায় তারা সকলে মিলে ব্যবসায়ীর নিকট দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় মামলাসহ নানান প্রকার ভয়ভীতি দেখান।
নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ী রিপন নগদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদাবাজদের হাতে দেন এবং বাকি টাকা ভাংড়ি মালামাল বিক্রি করে এসে দিবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন।
বলাবাহুল্য যে, ওই ব্যবসায়ী ভাংড়ির দোকানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে তিনি সিসি ক্যামারের ফোটেজ দেখে এবং এলাকার স্থানীয় আ’লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙবাসী নিকট ঘটনাটি জানান।
এসময় আ’লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, পল্লী বিদ্যুতের রৌমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম মেহেদী মাসুম ও রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকারকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানান। ্এ বিষয়ে ভাংড়ি ব্যবসায়ী রিপন মিয়া ৪ জনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। শুরু হয় দফায় দফায় তদবির। এ ঘটনার দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে রবিবার গভীর রাতে মামলা রেকর্ড করেন ওসি।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের রৌমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম মেহেদি মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় থানায় নিয়মিত একটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে এবং আসামী ধরার চেষ্ঠা চলছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।