নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে দোকানিকে ব্যস্ত রেখে ফিল্মস্টাইলে দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে তিন চোরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরআগে ওইদিন সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাঠান মির্জাপুর চৌমাথা বাজারে চুরির ঘটনা ঘটে।
চুরি করা নগদ ৫ হাজার ১১০টাকাসহ আটককৃতরা হলো- বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার খিদিরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে সুমন (২৬), একই এলাকার তসলিম আকন্দের ছেলে ফারুক (২৮) ও ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার দাদরা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৫)। তাদের কাছ থেকে চুরিকাজে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন বিহীন একটি পুরাতন বাজাজ মোটরসাইকেল ও দুটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। চুরির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন খুদ-ভূষি দোকানি উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের নিমাইদিঘী মধ্যপাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মনির উদ্দিন।
মামলার বিবরণে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঠান মির্জাপুর চৌমাথা বাজারে খুদ-ভূষি দোকানে সকালে দুই যুবক ১০ কেজি খুদ কিনতে যায়। বাজারের তাল গাছের নিচে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আরেকজন। ক্যাশ থেকে উঠে দোকানি মনির উদ্দিন বস্তা থেকে খুদ বের করার সময় এক যুবক দোকানে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা চুরি করে দুজনই দৌড় দেয়। দোকানির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে তাল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক পালিয়ে যায়। পরে দেওগ্রাম বাজারে মোটরসাইকেলসহ তিন চোরকে আটক করে গনপিটুনি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে জনতা। তাদেরকে আটক করে পাঠান মির্জাপুর চৌমাথা বাজারে নিয়ে এসে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পিটুনির শিকার তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিজরুলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিনব কায়দায় দোকান থেকে টাকা চুরি করে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাদের বিরুদ্ধে চুরি মামলা দায়ের শেষে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।