নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার পরিবারের সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৫দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। চার শিবিরকর্মীসহ ১০জনকে আসামি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি গ্রহণ করেন থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের সোনারপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক ও আহত অবস্থায় তার ছোট ভাইকে উদ্ধার করে পুলিশ। হামলার ঘটনায় জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ওইদিনই থানায় গিয়ে মামলার আবেদন করেছিলেন সাংবাদিক নজরুল। ঘটনার ৫দিন পর মামলাটি রেকর্ড করা হলেও আসামি গ্রেফতারে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।
মামলার বিবরণে ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, লাগাতার মিথ্যাচার, অপপ্রচার, অপহরণের চেষ্টাসহ নানা ঘটনায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২৮ নভেম্বর থানায় অভিযোগ ও জিডি করেন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া। তিনি জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক ও দৈনিক পুনরুত্থান পত্রিকায় কর্মরত আছেন। থানায় অভিযোগ ও জিডি দায়েরের জেরধরে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আসামিরা বাড়ির সামনে গিয়ে সাংবাদিককে বাইরে বের হওয়ার জন্য ডাকাডাকি করে। বাড়ির ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেননি। পরেরদিন শুক্রবার সকালে কৈগাড়ী সোনারপাড়ার রহমতুল্লাহর দুই ছেলে রহিম ও গোলামের নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চার কর্মী কৈগাড়ী গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে আজিজুল, এখলাসুর, একই গ্রামের রফিকুল মফিজের ছেলে আতিকুল ও সিংড়া উপজেলার বেওলা গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আলহাজসহ আসামিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এসময় সাংবাদিকের ছোটভাই হাফেজ মাওলানা নাজিজুল হককে (৩১) ছুরিকাঘাত করলে তার হাতের আঙুলে লেগে কেটে যায়। ভাইকে বাঁচাতে আরেক ভাই নুরনবী এগিয়ে গেলে তাকেও ধাওয়া করে সন্ত্রাসীরা। সাংবাদিকের ওপর হামলার জন্য বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় দেশীয় অস্ত্রধারীরা। তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিক ও আহত অবস্থায় তার ছোট ভাইকে উদ্ধার করে পুলিশ। আহত নাজিজুল হককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলা ঘটনার ৫দিন পর মামলা নেয়ার ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ছুটিতে ছিলেন। থানায় এসেই মামলাটি রেকর্ড করেছেন। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।