বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে যৌতুক মামলায় মুচেলিকা দিয়ে জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর মধ্যপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মোছা.উষারানীর সঙ্গে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ধাতুয়া কান্দা গ্রামের আ: সাত্তারের ছেলে জাকিরুল ইসলামের ৯ মাস পূর্বে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে উষারানীকে যৌতুকের জন্য প্রয়োগ করতে থাকেন স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। যৌতুকের অর্থ চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতনের ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর উষারানী তার স্বামী জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে “মামলা আমলে নেওয়ার আদালত, বকশীগঞ্জ” এ যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ (২০১৮ সনের ৩৯ নং আইন) এর ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জাকিরুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিজ্ঞ আদালতের কাছে আর যৌতুক চাইবে না এবং তার স্ত্রী উষারানীকে নিয়ে ঘর সংসার করার শর্তে জামিনে মুক্তি পান।
জামিনে মুক্তি পেয়েই জাকিরুল ইসলাম গত ২৭ নভেম্বর তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে যৌতুক মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করেন এবং মামলা তুলে না নিলে তার স্ত্রী উষারানীকে হত্যার হুমকি প্রদান করেন স্বামী জাকিরুল ইসলাম।
এঘটনায় উষারানী ভীত সন্তস্ত্র হয়ে স্বামী জাকিরুল ইসলাম সহ ৫ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুুক্তভোগী উষারানী জানান, বিয়ের পর থেকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। বিশেষ করে যৌতুক দিতে না পারায় আমাকে প্রায় সময়ই মারধর করা হতো। তাই আমি বিজ্ঞ আদালতের সরণাপন্ন হয়েছি। আমি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. ফিরোজ মিয়া জানান, যৌতুকের দাবিতে মারধরের ঘটনায় কোর্টে একটি একটি মামলা করেন উষারানী। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য উষারানীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি যাচাই পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।