জামালপুরে সাংবাদিক মাসুদকে তথ্য দিতে ডিসির আদেশ

S M Ashraful Azom
0

 : তথ্য অধিকার আইনে সাংবাদিক মাসুদকে তথ্য প্রদানে  আদেশ দিয়েছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়। 

জামালপুরে সাংবাদিক মাসুদকে তথ্য দিতে ডিসির আদেশ



 সেই আদেশের প্রেক্ষিতে কবে তথ্য পাওয়া যাবে জানতে চেয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বরাবর লিখিত আবেদন করেন দৈনিক আলোচিত জামালপুর ও দৈনিক জনবাণী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদুর রহমান ।  তিনি ঢাকার তেজগাঁও কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের  শিক্ষার্থী।

১২ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসকের আদেশ চিঠি সুত্রে জানা যায়, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন কারী মাসুদুর রহমান এর চাহিত তথ্য প্রদানে কি রুপ ফটোকপির খরচ হবে তা ৫ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে অবহিত করতে হবে। আবেদন কারী তথ্য গ্রহণে ফটোকপির অর্থ নির্দিষ্ট সরকারী কোডে চালান প্রদান জমাদান করে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে থেকে তথ্য গ্রহণ করবে। কবে তথ্য প্রদান করা হবে তা পত্র মারফত মাসুদুর রহমানকে জানানোর আদেশ দেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।

এদিকে জামালপুর জেলা প্রশাসকের দিক নির্দেশনায় ১৫ ফেব্রুয়ারী জামালপুর তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান  উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোটিশের মাধ্যমে আবেদনকারীকে  ফটোকপির খরচ ও কত তারিখে  তথ্য প্রদান করা হবে তা পত্র মারফত ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে জানিয়ে তার কার্যালয়ে অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান।

উল্লেখ্য যে, সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা ও পিআইও হুমায়ূন কবির যোগদানের পর থেকে সাংবাদিকদের অনেক আবেদন পড়লেও সরিষাবাড়ীতে  সাংবাদিকরাই সরকারি তথ্য পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চয়তার বাইরে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনেক সাংবাদিকেরই অসংখ্য আবেদন ফাইলবন্দি আছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

সাংবাদিক মাসুদুর রহমান বলেন, আমি একাধিক বার তথ্যের জন্য আবেদন করেছি। আবার ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর তথ্য অধিকার আইনে টিআর, কাবিটা, কাবিখা, জিআর প্রকল্পের সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্ধের তালিকা এবং প্রকল্প কমিটির তথ্য চেয়ে আবেদন করি। তথ্য না পেয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আপীল আবেদন করেছি। ১২ ফেব্রুয়ারী আপীল শুনানীতে আমি ও আমার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলাম। সে শুনানিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা  ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা পিআইও হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন না বলে তিনি জানান।  তিনি আরো বলেন, ডিসি স্যারের আদেশের কপি পেয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী আমি কোন হিসাব নম্বরে ফটোকপির টাকা জমা,কত টাকা প্রদান করব এবং কবে তথ্য পাবো এগুলা তুলে ধরে ইউএনও বরাবর আবেদন করেছি।

এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর এর মুঠোফোনে বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসাকে মুঠোফোনে বক্তব্যের জন্য ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন কোর্টে আছি আপনি পরে ফোন দিয়েন।

কথা হলে জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, সাংবাদিক মাসুদুর রহমান এর আবেদনের আপীল শুনানি করা হয়েছে।  যথাযথ নিয়মে নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ইউএনওকে আদেশ প্রদান করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top