শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় খামার মালিকগণের মিলন মেলা-২০২৩ গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খনজনমারা গণি মোল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকার একটি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোনার বাংলা ডেইরি এন্ড এগ্রো’র আয়োজনে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ.টি.এম হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার ভেটেরিনারী কর্মকর্তা ডা. মোশারফ হোসেন, প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদন্নবী মিলন, সোনাভরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী, ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া, আয়নাল হক, শাহজামাল ও খামার মালিক আবুল কালাম আজাদ।
মিলন মেলায় প্রায় দুই শতাধীক খামারি অংশ নেয়।
সোনার বাংলা ডেইরী এগ্রো ও খামার মালিক মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি বিষয় আমি সবাইকে দেখাই দিব এবং অন্যান্য খামারিরা কাজ করবেন। এতে আমরা সবাই মালিক হবো। মন্ত্রী মহোদয় প্রাণী সম্পদ মেলায় আমার স্টলেই বেশি সময় দিয়েছেন। তিনি প্রযুক্তি বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছেন। বাংলাদেশ খামার মালিক এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডা. ইমরান ভাইর কাছে আবেদন করছি। তিনি যদি সদয় হয় তাহলে আমরা সবাই উপকৃত হবো
আপনাদের চেষ্টা কাজে লাগাইলে সংগঠনকে অনেক দুর এগিয়ে যাবে। রৌমারী চরাঞ্চল উপজেলা। আমি উপজেলা পরিষদের আলোচনা সভায় এবিষয়ে কথা বলি। রৌমারী উপজেলাটি প্রাণী সম্পদ এলাকা। প্রতিটি ঘরে ঘরে গরু আছে। আজকে সোনার বাংলা ডেইরী এগ্রো যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে তা নিখুত ভালো উদ্যোগ। এটার মাধ্যমে স্বল্প খরচে গরু খাদ্য আপনারা ক্রয় করতে পারবেন। এতে আপনারা অনেক লাভবান হবেন।
কুড়িগ্রাম জেলা ভেটেরিনারী কর্মকর্তা ডা.মোশারফ হোসেন বলেন, গরুর খাদ্য কাঁচা ঘাস। গরু উৎপাদন করতে ৭০ ভাগ খরচ হয় খাদ্যে। এই খরচ যদি আমরা কমে আনতে পারি তাতে অনেক সাশ্রয় হবে। আপনারা যারা কৃষক রয়েছেন, যাদের খাামারি আছে ভুট্টা দিয়ে সাইলেন্স খাদ্য তৈরি করতে পারেন। যা উৎপাদন করবেন তাই আপনাদের কাজে লাগবে। সাইলেন্স খাদ্যে খরচ অনেক কম। অন্য খাদ্যে খরচ পড়বে ১২ টাকা। তবে সাইলেন্স খাদ্যে খরচ কম ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।