জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ১১ নং শ্যামপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সাইদ মাস্টার ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের সাথে হট্রগোল হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ এপ্রিল দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায়।
জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৯৫০ জন হতদরিদ্র পরিবারের বিপরীতে জনপ্রতি ১০ কেজি হারে শ্যামপুর ইউনিয়নের ২৯.৫০০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৭ এপ্রিল ভিজিএফ’র চাল বিতরণের দিনক্ষণ ধার্য ছিল। ইতোমধ্যেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২ হাজার কেজি চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসি। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের জন্য পিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ইতোমধ্যেই অপেক্ষমান হতদরিদ্রদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন মেলান্দহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরই মাঝে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির মাঝে বাকবিতন্ডা চলাকালে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মাঝেও বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইদ মাস্টার জানান-ইউনিয়ন পরিষদে চাউল রাখার জায়গা সংকটনের কারণে সরকারি গোডাউনেই চাউল রাখা হয়েছে। এটা উপজেলা প্রশাসনও জানেন। গোডাউন থেকে ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনার পথে চালের গাড়ি আটকে দিলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা নিতে না পেরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-চেয়ারম্যান ভিজিএফ’র চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এটা জানাজানি হবার পর পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। মূলত: দলের নেতাদেরতো কিছুটা সুবিধা থাকেই।
ইউএনও সেলিম মিঞা জানান-হতদরিদ্রদের চাউল বিতরণ চলমান রাখা হয়েছে। বিষয়টি পিআইওসহ কয়েকজনকে তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা ঠিক হবে না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।