রৌমারীতে খরায় ফসল পুড়ে ছাই

🕧Published on:

 : কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র গরম ও খরার কারনে পাট, হাওর অঞ্চলের বোরাধান, তিল, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হচ্ছে। এতে জ্বালানী তেল খরচ করে ওইসব ফসলে পানি সেচ দিতে অর্থ সংকটেও পড়ছে কৃষক।

রৌমারীতে খরায় ফসল পুড়ে ছাই



 সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চরাঞ্চলের পাটসহ বিভিন্ন ফসলের জমি পানির অভাবে ফেটে চৌচির হচ্ছে। মরে যাচ্ছে পাট, বোরো ধান, তিল ও শাকসবজি আবাদ। গত বছর পাটের দাম সাড়ে ৩ হাজার টাকা মন পর্যন্ত উঠেছিল। এক বিঘা জমিতে সাধারণত ১০ থেকে ১২ মন পাট হয়। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে হাল, বীজ,সার ও শ্রমিক মুল্য দিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। দাম ভালো পাওয়ার আশায় এবার চাষিরা বেশি করে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু খরার কারনে পাট যেমন পুড়ে নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পাট জাগ দেওয়ার পানিরও সংকট দেখা দিতে পারে। ফলে এবার পাট চাষিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। হাওর অঞ্চলের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে খরার কারনে। অপর দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের পাহাড়ি ঢল যে কোন সময় নেমে আসতে পারে। এ জন্য তরিঘড়ি করে আধাপাঁকা ধান কেটে নিচ্ছে কৃষকরা । 

সীমান্তঘেষা আলগার চর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান অনেক কষ্টে দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। কিন্তু তীব্র রোদের জন্য অনেক পাট মরে যাচ্ছে। ওই জমিতে পানি সেচ দেওয়ারও কোন উপায় নেই। চোখের সামনেই আমার পাটের আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এবার পাট চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমি। প্রচন্ড খরার কারনে পাটে ‘মাইট’ নামের একধরনের পোকার উপদ্রব হয়েছে। এখন পাটের জন্য জোরে বৃষ্টির দরকার। এ ছাড়া খরার কারনেও এবার পাট বড় হচ্ছে না। যাঁদের জমিতে পাট ভালো আছে, তাঁরাও জাগ দেওয়ার পানি নিয়ে সংকটে পড়তে পারেন।



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।