শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় বিদ্যুতের সাশ্রয়ের নামে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় কম করে হলেও ১৫/২০ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী।
দিনে রাতে মিলিয়ে ৯/১০ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। অনেকেই বলছেন, ঘন ঘন বিদ্যুতের উঠানামার কারণে বেশি পরিমাণ ইউনিট কাটা হচ্ছে। এ বিষয়টিকে পিডিবির অদায়িত্বশীল আচরণ বলছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুত না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও অন্যান্য অফিস-আদালতের কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটেছে।
গত শীত মৌসুমে মানুষজন অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় লোডশেডিং তেমন একটা ছিলো না। এখন গরম এসেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে গরম অন্য বছরের তুলনায় বাড়ছে। কিন্তু লোডশেডিং কমছে না।
একদিকে গরম ও অন্যদিকে লোডশেডিং করায় অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিকল্প উপায় হিসেবে চার্জার ফ্যানের দিকে ঝুঁকছেন। এ সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এখন চার্জার ফ্যানের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে টিভি,ফ্রিজ, ফ্রানসহ ইলেকট্রক্সি মালামাল অকেজো হচ্ছে।
জানা যায়, দেশব্যাপী চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গরমে। বিদ্যুত অফিস থেকে শিডিউল দেয়া হলেও তারাই মানছে না নিয়ম। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ নামাজ কিংবা সাহরি সব সময়ই নেয়া হচ্ছে বিদ্যুত।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুত অফিসে এলাকাবাসী একাধিকবার ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলেও কেউ রিসিভ না করায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বিদ্যুতেরও অবস্থা তো আরও ভয়াবহ।
এব্যাপারে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রৌমারী জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) মেহেদী মাসুদ বলেন, রৌমারী উপজেলায় বিদ্যুত সাপ্লাই রয়েছে সাড়ে ৪ মেঘাওয়াট ও চাহিদা রয়েছে ১২ মেঘাওয়াট, রাজিবপুর উপজেলায় সাপ্লাই রয়েছে ৩ মেঘাওয়াট ও চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুত। এ কারণেই কিছু লোডশেডিং হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।