শফিকুল ইসলাম : বালিয়মারী সীমান্ত হাটে এনএসআই কর্মকর্তা মৃদুল হককে লাঞ্চিত করেছে ভেন্ডার সিন্ডিকেটরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্ত হাটে।
পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত হাটে ২৫ জন ভেন্ডার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুধু মাত্র বাংলাদেশি শুকনা সুপারির শতশত বস্তা চালান বিক্রির উদ্যেশে সীমান্ত হাটে তোলে। এছাড়া এক ভেন্ডারের অনুপস্থিত অপরজন তার নামের মাল অবৈধভাবে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় অসাদু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে ওই হাটে তোলার চেষ্টা করে সিন্ডিকেটচক্রটি। ঘটনার দিন সকালে ইউসুফ নামের একজন ভেন্ডারের কার্ড নিয়ে অন্য একব্যক্তি শুকনা সুপারি হাটে তোলার চেষ্টা করলে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) রৌমারী ও রাজিবপুর প্রতিনিধি মৃদুল হক বাধাদেন এবং ওই কাডের ছবি তোলামাত্রই হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে ওই কর্মকর্তাকে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট নেওয়া হয়। একপর্যায় তাদের সামনে ভেন্ডার সিন্ডিকেট বাকবিতন্ডতার ভেন্ডার কার্ডধারী ফরিজল হক, মোহাম্মদ আলী, দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুস সামাদসহ ১০/১৫ জনের একটি দল এনএসআই কর্মকর্তার সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ এবং লাঞ্চিত করেন। এসময় ভেন্ডার কার্ডধারী ফরিজল হক, মোহাম্মদ আলী, দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুস সামাদ জানান আমরা কোন সিন্ডিকেট করিনা। তবে ভারতের চাহিদার ভিত্তিতে একটু কৌশল করে এ ব্যবসা করে আসছি।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন কাষ্টমস কর্মকর্তা মামুন মিয়া, বালিয়ামারী বিজিবি’র কোম্পানী কোমান্ডার সুবেদার আঞ্জু, রাজিবপুর থানার এসআই সহিজল হক, রাজিবপুর সদর ইউপি’র চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াসসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ঘন্টাব্যাপী বৈঠক চলার অবশেষে স্থানীয় নেতৃরৃন্দের চাপে ফরিজল হক এনএসআই এর কর্মকর্তার কাছে হাতধরে ক্ষমা চান।
এব্যাপারে এনএসআই’র কর্মকর্তা মৃদুল হক বলেন, ভেন্ডার কার্ডধারী একটিচক্র দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে মালামাল আনানেওয়া করে আসছে। এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বডারহাটে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কার্ডধারী ও ব্যবসায়ীরা প্রভাব খাটিয়ে আমার উপর চড়াও হয় এবং লাঞ্চিত করে।
রাজিবপুর সদর ইউপি’র চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। পরে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।
বালিয়ামারী কোম্পানী কোমান্ডার আঞ্জ মিয়া জানান, উনি পরিচয় না দিয়ে কার্ডেও ছবি তোলাসহ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তা সমাধান করা হয়েছে।
রৌমারী কাষ্টমস কর্মকর্তা মামুন মিয়া বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে এনএসআই’র কর্মকর্তার সাথে একটু ভুলবুজাবুঝি হয়েছিল তা মিমাংসা করা হয়েছে।
রাজিবপুর থানার এসআই সহিজল হক জানান, ব্যবসায়ীরা এনএসআই’র সাথে একটু বেয়াদবি করেছে পরে মিমাংসা করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।