শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার সীমান্ত হাটে যাতায়াতের জন্য জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক না থাকায় যানবাহনসহ পথচারিদের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সীমান্ত হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আসলেও ব্রীজ ও সড়ক নির্মার্ণে কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২৩ জুলাই ২০১০ সালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বর্ডার হাটটি দু’দেশের বানিজ্যিক উন্নয়নের স্বার্থে চালু করা হয়। ততকালীন বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব ফারুক হোসেন খান বর্ডার হাটের শুভ উদ্বোধন করেন। বর্ডার হাটটি চালু হওয়ায় স্থানীয় প্রায় ৬’শ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। ফলে সীমান্ত চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজ অনেকটা কমে আসে। ওই হাট পরিদর্শনের জন্য এর আগে জেলা প্রশাসক, কমিশনার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজিবির কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা আসেন এবং ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় এলাকাবাসি জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য আবেদন জানান। দীর্ঘ ১৩ বছর অতিবাহিত হলেও আজেও কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। কবে নাগাত ওই ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে তাও কোন আশ্বাস পাচ্ছেন না তারা।
স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী রায়হান জানায়, বডার হাটে যেতে নৌকা পার হয়ে যেতে ও আসতে ২০ টাকা দিতে হয় নৌকা ভাড়া। এছাড়াও কাঁদা পানি ভেঙ্গে রাস্তা দিয়ে যেতে হয় ওই বডার হাটে। এখানে ব্রীজ হলে খুব সহজে যাতায়াত করা যাবে। আমি সরকারের কাছে ব্রীজ ও রাস্তার দাবী করছি।
বডার হাটের ক্রেতা নাজির হোসেন জানান, কাঁদার উপর দিয়ে হেটে জিঞ্জিরাম নদীতে পা ধুয়ে আবার নৌকা যোগে নদী পার হয়ে বর্ডার হাটে প্রবেশ করতে হয়। বালিয়ামারী ব্যাপারি পাড়া মোড় হইতে জিঞ্জিরাম নদী পর্যন্ত রাস্তাটি ও জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এবং পাশাপাশি অর্থ খরচও কমে যাবে
এবিষয় বালিয়ামারী ক্যাম্পের সুবেদার মহিউদ্দিন বলেন বর্ডার হাটে যাওয়া আশা খুবই কষ্টকর রাস্তাটি দূরত্ব পাকা করন সহ একটি ব্রীজের জোড় দাবী করছি।
চর রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস মোহাম্মাদ মিরন বলেন, বর্ডার হাটটি চালু হওয়ায় এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তবে বালিয়ামারী ব্যাপারিপাড়া মোড় হইতে বর্ডার হাট পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তাটি খুবই খারাপ। আমি জনগনের সুবিধার্থে রাস্তাটি পাকা করন ও ব্রীজের জোরদাবী জানাচ্ছি।
রাজিবপুর উপজেলা প্রকৌশল যুবায়েদ হোসেন জানান, ব্রীজের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং আশা করি অনুমোদন হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।