শফিকুল ইসলাম : রৌমারীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের শেষে সন্ধ্যায় বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সকাল থেকেই বিহিতপূজার মাধ্যমে পালিত হয়েছে দশমীপূজা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন বিজয়া দশমী।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দশমী বিহিতপূজা শুরু হয়। পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জন দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীতেই দুর্গা কৈলাসে গমন করেন, তাই মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন ভক্তরা। অন্তরে দেবী মাকে রেখে বিদায়ের সুর বাজে ঢাক ও শঙ্খের ধ্বনিতে। মন্ডপে মন্ডেপে পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার পাশাপাশি ভক্তদের চোখে বেদনার জল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, সহকারী পুলিশ সুপার মামুনুর রশিদ, থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার ও বিজিবির কমান্ডারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ও সাংবাদিক বৃন্দ।
এরপর পূজার সব কার্যক্রম শেষে দেবীদুর্গাকে দেওয়া হয় বিসর্জন। উপজেলার অধিকাংশ পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় রৌমারী সরকারি কলেজ এর পুকুরে ও জিঞ্জিরাম নদীর শ্বশান ঘাটে। দুপুরের পর থেকে মন্ডপ থেকে প্রতিমা নামিয়ে আনা হয় শ্বশানঘাট ও সরকারি কলেজের পুকুরে।
বিসর্জন উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে রৌমারী থানার পুলিশ। শ্বশান ঘাটে ও রৌমারী সরকারি কলেজে পুকুরে ছিল রৌমারী থানা পুলিশ।
মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে গত শনিবার শুরু হয় নয় শারদীয় দুর্গোৎসব। দশমীর বিহিতপূজা ও দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।