সেবা ডেস্ক : বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নিয়ে ষড়যন্ত্র ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুটুক্তির প্রতিবাদে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল মাননান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এস. এম. ইউসুফ আলী, শিক্ষক মাহমুদুল আলম শুভ, ইলিয়াস উদ্দিন সানিসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মেলান্দহ উপজেলা থেকে জেলা সদরে সরিয়ে নেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক স্ট্যাটাস দেন। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও তার বাবা-মাকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুটুক্তি করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। মারুফা আক্তার পপির এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবী জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জামালপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদর আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মারুফা আক্তার পপিকে লাঞ্ছিত করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর সদর আসনে মনোনয়ন ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় মির্জা আজমের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন মারুফা আক্তার পপি। ফেসুবকে এই ধরণের কুটুক্তিমূলক মন্তব্যের করণে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের জন্য পপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২৫ নভেম্বর একটি চিঠি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।