আসমাউল আসিফ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। হামলার ঘটনায় নৌকার ৬ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডুলা গ্রামে এই হামলায় ঘটনা ঘটে।
জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সজিব জানান, দুপুরের দিকে জামালপুর ৫ সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষ করে কর্মী-সমর্থকরা দক্ষিণ কৈডোলা হক দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ওই নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে এসে হাজির হয়। পরে কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেও কয়েকজন কেন্দ্রের ভেতর অবস্থান করে।
এ সময় হঠাৎ ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী-সমর্থকরা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটাসহ নৌকার নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।
এতে হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে নৌকার সমর্থক স্থানীয় ইউপি সদস্য নিয়ামত আলীসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে নিয়ামত আলী (৭০), তার ছেলে যুবলীগ নেতা মো: জাকির হোসেন (৪০), নৌকার সমর্থক মাসুদ রানা (২৭) ও মারুফ হোসেন (২২)কে জামালপুর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা প্রসঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা এ হামলা করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। যাদের হুকুমে হামলা করা হয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধি ইকরামুল হক নবীন জানান, নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর করার কারও দু:সাহস নেই। তারা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল তৈরি করে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সোহরাব হোসেন, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর।
এ ব্যাপারে সহকারি রিটার্নিং কমকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, নৌকা ও ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারমারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।