সেবা ডেস্ক: কুড়িগ্রামের সুনামধন্য হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
এই চার শিক্ষক কলেজের সুনাম নষ্টের পায়তারা করায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামে হোমিও চিকিৎসক তৈরির কারখানা হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ইং সালে। প্রথম কয়েক বছর নীলফামারী হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের আওতায় থাকলেও ২০১১ইং সালে হোমিও বোর্ডের মঞ্জুরী পেয়ে কুড়িগ্রামে হোমিও চিকিৎসার দ্বার সমৃদ্ধ করে এই কলেজটি।
এ যাবতকাল প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী ডিএইচএমএস পাশ করে হোমিও চিকিৎসক হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে জেলা জুড়ে। বর্তমানে এই কলেজে ২’শ ৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। কলেজের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যা রয়েছে ৪০ জন।
সম্প্রতি এই কলেজের চার শিক্ষক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তারা চার জনেই এই কলেজটিতে প্রভাষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
তাদের কলেজে অনিয়মিত আসা, জোরপূর্বক হাজিরা খাতায় একদিনে একাধিক দিবসের উপস্থিতির স্বাক্ষর করা, কলেজের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা সহ কলেজের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোষ্ট সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচার করার একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
তারা কলেজের ২য় বর্ষের এক ছাত্রীকে দিয়ে কলেজের বিরুদ্ধে সামাজিক গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর জন্য উৎসাহিত করেছেন বলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
একাধিক শিক্ষক বলেন- কলেজটি হোমিও চিকিৎসক তৈরির কারখানা। এ কলেজ হতে অনেক শিক্ষার্থী পাশ করে চিকিৎসক হিসেবে এই অঞ্চলে ব্যাপক সুনাম অর্জন করছে।
অভিযুক্ত চার শিক্ষক আমাদের কলেজের সুনাম নষ্টের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা কলেজের শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহার করায় আমরা মর্মাহত।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ ইয়াকুব আলী সরদার বলেন- তিল তিল করে আজকের বর্তমান অবস্থানে এনেছি এই কলেজকে। কলেজের শিক্ষক হয়ে যারা এই কলেজের সুনাম নষ্টের জন্য কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে দঁাড়িয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃ মোঃ আব্দুর রফিক বলেন- আপনারা সাংবাদিক লেখতে পারেন। লেখলেই বরং ভালো হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।