নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষসহ তিন পদে অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল হাসান সবুজ ও বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়ার অপসারণসহ তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
কার্যকর ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও উল্লেখ করেন বিক্ষুব্ধরা।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ইউএনও মো. হুমায়ুন কবিরের নিকট স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষানূরাগী ও দুর্নীতি বিরোধী সচেতন জনসাধারণের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন আয়নাল হক, দুলাল হোসেন, মন্টু মিয়া, আব্দুর রহমান, আজমীর হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, একটি কলেজের বহিস্কৃত শিক্ষক মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়াকে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজে বিধি বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদে গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে কোনো ধরণের তদন্ত কমিটি ও হস্তক্ষেপ গ্রহণ না থাকায় পুনরায় গোপনে বিভিন্ন পদে নিয়োগ কার্যক্রম করার প্রস্তুতি নিয়েছে গভর্নিং বডির সভাপতি। বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের গভর্নিং বডির দুনীতিগ্রস্ত সভাপতি কামরুল হাসান সবুজ ও বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়ার অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এরপরও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কোনো হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যেকারণে ঘোষিত লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের বহিস্কৃত শিক্ষক মাহবুবুর রশিদ তোতার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা রয়েছে। মাহবুবুর রশিদ কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের কারণে পীরব কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় সব তথ্য গোপন রেখে নন্দীগ্রামে নিয়োগ পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি কামরুল হাসান সবুজ বলেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।