সেবা ডেস্ক: ট্রাম্পের নতুন ভূ-রাজনীতিতে ভারত নয়, এবার এগিয়ে বাংলাদেশ। এলএনজি চুক্তি ও ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে।
![]() |
ভারত নয়, টার্গেট এবার বাংলাদেশ! ট্রাম্পের দৃষ্টিতে এগিয়ে ইউনূস |
আনপ্রেডিক্টেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন বিশ্ব রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত নতুন চমক সৃষ্টি করছেন। তাঁর সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে এবার বাংলাদেশ, আর ভারত যেন ধীরে ধীরে ছিটকে পড়ছে। বিশ্বস্ত বন্ধু নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো দূরে থাক, বরং ট্রাম্পের নীতিতে বারবার ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের কাছে ডক্টর ইউনূসের প্রাধান্য:
ভারতের মোদীকে দূরে ঠেলে, ট্রাম্প যেন কাছে টেনে নিচ্ছেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে। ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এটা কি শুধুই "ট্রাম্পের খেয়ালিপনা" নাকি "দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ" তৈরির কৌশল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শহীদুজ্জামানের মতে, "ট্রাম্প পুঁজিবাদকে শক্তিশালী করার একজন কট্টর সমর্থক। ড. ইউনূস তার কাছে ক্যাপিটালিজমের একটি আদর্শিক চেহারা।" ড. ইউনূস আমেরিকার ব্যবসায়িক পরিবেশে তার স্বার্থ রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন কাজে লাগাতে চাইবেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়িক সম্পর্ক:
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
ভারতের অর্থনীতি ও ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান:
অন্যদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ভারত যদি মার্কিন পণ্যের ওপর ১০০% শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র একইভাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। এমন পদক্ষেপ ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ভারতের রিজার্ভ কমছে, রুপির মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অভিবাসন নীতি ও ভারতের চ্যালেঞ্জ:
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রভাব সরাসরি ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় অভিবাসীর ওপর পড়বে। কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা ভারতের উপর আর্থিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি করবে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ এগিয়ে:
ড. ইউনূস এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক এখন ইতিবাচক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল হতে পারে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া। অন্যদিকে, ভারতের অবস্থান ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।