আবদুল্লাহ আল-হারুনের ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ যেন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

শাহ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান: আবদুল্লাহ আল-হারুন (জন্ম. ১১ই অক্টোবর ১৯৪৫) পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। কর্মজীবনের শুরুতে অধ্যাপনা, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। 

আবদুল্লাহ আল-হারুনের ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ যেন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি
আবদুল্লাহ আল-হারুনের ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ যেন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি


এক অনিবার্য কারণে তিনি ১৯৭৭ সালে দেশ ত্যাগ করেন। তিনি বাংলা ভাষায় মৃত্যু ও মৃত্যুসঙ্গ নিয়ে গবেষণা ও রচনার পথিকৃৎ। এ বিষয়ে তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অনুবাদক হিসেবেও তিনি সিদ্ধহস্ত। তিনি বিশ্বসাহিত্যের কয়েকটি ক্লাসিক বই অনুবাদ করেছেন। 

তিনি ১৯৭৭ সালে মাতৃভূমি ত্যাগের পরবর্তীকালে প্রবাস জীবনে তিনি বিচিত্র, বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাসহ ঘুরেছেন সমগ্র ইউরোপ। নিজের কর্মময় জীবন, কখনো বেকার ও ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। অনেক দেরিতে কলম ধরলেও তার লেখার গভীরতা, বিস্তর পড়াশোনার ব্যাপকতার কারণে লেখাগুলো হৃদয়কে স্পর্শ করে। 

বিজ্ঞান বিষয়ও তার জ্ঞান অলোকসামান্য। তার মননশীল চিন্তা চেতনা জ্ঞানের প্রখরতা জার্মান প্রফেসর তো বটেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকেও ছাড়িয়ে গেছে। তার পাণ্ডিত্য ও সমঝদারিত্ব অসাধারণ। তার লেখা পড়ে সহোদর অগ্রজ আবদুল্লাহ আল মামুন (১৯৪২-২০০৮) একদা তাকে বলেছিলেন, “এত দেরি করে শুরু করলে কেন? ভালোই তো লিখেছ বন্ধ করো না চালিয়ে যাও।” 

আবদুল্লাহ আল হারুনের প্রথম বই ‘প্রবাস প্রবাসে দৈবের বসে’ ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে- ‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে’ (২০০৯), ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ (২০১০), ‘অঙ্গবিহীন আলিঙ্গন’ (২০১০), ‘হৃদস্পন্দন আশা হয়ে বাজে‘ (২০১১), ‘মৃত্যু একটি দার্শনিক জিজ্ঞাসা’ (২০১১), ‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন ;মহান রূপরেখা’ (২০১৬), মৃত্যুসঙ্গীর দিনলিপি (২০১৭), রাজদর্শন (২০১৯), ‘বেলভদ্রের বিনোদিনী’ (২০১৯), ‘বিটবুর্গ রহস্য’ (২০২৪), ‘হাইদি’ (২০২৪) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। 

আবদুল্লাহ আল হারুনের লেখালেখির মূল সুরটি হচ্ছে মাতৃভূমি বিকল্প নেই। মাতৃভূমির মানুষ, মাতৃভাষা তার জাতীয় পরিচয়। তার প্রিয় শহর জামালপুর দেখে তিনি মুগ্ধ। এই শহরের মতো কোনো শহর পৃথিবীতে কোথায় পাননি তিনি। এই প্রত্যয়গুলো তার জীবনের সঙ্গে গভীর একত্মতায় জড়িয়ে রয়েছে। তিনি অত্যন্ত স্মৃতিধর, মেধাবী লেখক। তার শৈশব-কৈশোরের তারুণ্যের বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের জামালপুর মহকুমা শহরের বিশের পঞ্চাষ-ষাট দশকের দিনগুলি তিনি এক মুহূর্তের জন্যেও ভুলে যাননি। এটি তার নিকট পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শহর। তিনি শিকড়কেও কখনো ভুলেননি। তার লেখার পরতে পরতে এটি অনুভব করা যায়।

একজন মানুষের নস্টালজিকতা না থাকলে সে সমৃদ্ধ মানুষ হতে পারে না। সাহিত্যের ইতিহাসে ব্যক্তির স্মৃতিকথা সব সময় উল্লেখ করার মতো। তাদেরই স্মৃতিকথার এই অবদানই দেশ বা কোনো অঞ্চলের সাহিত্যের গতিধারা যুগে যুগে পরিবর্তন করে এবং তা বর্তমান ও ভাবীকালের মানুষের জীবনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে প্রবহমান থাকে। বাংলাদেশের সমকালীন সাহিত্যকে বোঝতে হলে এই ধরণের ব্যক্তির স্মৃতিকথার সঙ্গে পরিচিত হওয়া আবশ্যক। মানুষের অন্তরে যিনি প্রবেশ করতে পারেন তিনিই সাহিত্যিক, তিনিই তো স্রষ্টা।

বিশ শতকের পঞ্চাশ-ষাট-সত্তর দশকের জামালপুরসহ বাংলাদেশের তিনি যে আলোচ্য ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ গ্রন্থে বর্ণনা দিয়েছেন তা অপূর্ব। সেই সময় ঢাকা যখন শহর তখন জামালপুর শহর অজপাড়া গাঁ গ্রাম। এই গ্রাম সম্বন্ধে আবদুল্লাহ আল-হারুন তার গ্রন্থ ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ অত্যন্ত নিখুঁদভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। জামালপুরের মানুষের একটা বড় অংশ ব্রিটিশবিরোধী, পাকিস্তান আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামে অগ্রণী ছিল। এসব বর্ণনাসহ সমাজের অনগ্রসরতা, নারী শিক্ষা প্রভৃতি প্রত্যয়ের বর্ণনা এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।

আমরা মনে করি, তার লেখার ফেলো-ফিলিংসের অন্যতম প্রত্যয় হচ্ছে-একটি বৃক্ষের উপরিভাগ যতই মনোরম হোক না কেন? মূল বা শিকড়কে বাদ দিয়ে এটি কল্পনা করা অসম্ভব। তেমনি নিজ স্বদেশ জামালপুরসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের মায়া, মমতা, ভালোবাসা তার নিকট শ্রেষ্ঠ সম্পদ। 

আবদুল্লাহ আল-হারুনের আত্মজৈবনিক স্মৃতিচারণমূলক আলোচ্য ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ গ্রন্থটি জামালপুরের তদানীন্তন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা রয়েছে। আবদুল্লাহ আল-হারুনের এটি তৃতীয় নম্বর গ্রন্থ যা ২০১০ সালে শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাস জীবনের পর তিনি ২৬শে জানুয়ারি ২০০৮ সালে মাতৃভূমিতে পদার্পণ করেন। তিনি প্রায় তিন মাস মাতৃভূমিতে অবস্থান করে ২০০৮ সালের মার্চে জার্মানিতে ফিরে যান। আলোচ্য গ্রন্থের বিষয়াবলি তিনি জার্মানিতে লিখেন। 


হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়, আবদুল্লাহ আল-হারুন, প্রচ্ছদ : রবীন আহসান, সম্পাদনা ও অলংকরণ : আসিফ হাসান, শ্রাবণ প্রকাশনী, ঢাকা, প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১০, ২২২ পৃষ্ঠা, দাম : ২৫০ টাকা। 

‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ গ্রন্থে ছোট বড় প্রায় ৩৪ টি অধ্যায় রয়েছে। এগুলো হলো- ফিরে এসেছি (২৬ জানুয়ারি), জামালপুর ১ (২৬-২৮ জানুয়ারি), জামালপুর ২ (২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি), বই প্রকাশনা উৎসব (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮), আলো ভুবন ভরা, নতুন প্রজন্ম, আসিফ-শাহানা, পানু ভাই, জেনারেল দৌলা, কমরেড ফয়জুর, এডভোকেট দুলু, সিদ্দিক-পানাউল্লাহ-রশিদ, বাল্মিকী সুকুমার, প্যারোডি গগন, ছাকেবুদ্দিন-আলী ইমাম দুলাল-শহীদ, আমার বাল্য বন্ধুরা, আমরা তিনজন, নতুন পাওয়া বন্ধুরা, তিনজন প্রিয় বন্ধু, বইমেলা, বাংলাদেশের অগ্রগতি, বাংলাদেশের প্রথম দিনগুলি, তোমাকে আসতেই হবে, নিউ লজ (ফাতেমা ভিলা), আমার মায়ের বোনেরা, নতুন করে চেনা, পিছু ফিরে দেখা, হৃদয় ছুঁয়ে যায়, আমি স্মরণ করি, বর্তমান শিক্ষার অবস্থা, নারী শিক্ষা ও প্রগতি, নতুন সাহিত্যের ধারা ও মুক্ত সংস্কৃতি, ঢাকায় বাকি দিনগুলি, আবার আসিব ফিরে (শেষ রাত)। এই অধ্যয়গুলোতে জামালপুরসহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের নানা ইতিহাস বর্ণনা বিধৃত হয়েছে।

এই গ্রন্থের অধ্যায়গুলোতে দীর্ঘ প্রবাস জীবনের পর মাতৃভূমিতে অবস্থানকালীনের নানা ঘটনার আনুপুর্বিক বর্ণনার সমান্তরালে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের নামধাম, পেশা থেকে শুরু করে প্রান্তিক মানুষের জীবনাচরণ, মাতৃভূমির শিকড়, জামালপুর শহরসহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ইতিহাসের উপাদান রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফিরে এসেছি শীর্ষক স্মৃতিচারণমূলক আত্মজৈবনিক লেখায় তিনি লিখেছেন : 

“দীর্ঘ প্রবাস জীবনে ইউরোপের অনেক এয়ারপোর্টে আমার দেখা হয়েছে। দেশত্যাগের সময় সে সময়ের কুর্মিটোলার ছোট্ট এয়ারপোর্ট থেকে অনির্দিষ্টের দিকে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এবারে যে বন্দরে নামলাম তা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হতে চাইছিল না। প্লেন থেকে নেমে বিলাতি কায়দায় কৃত্রিম সুরু সুড়ঙ্গ পথে গোলক ধাঁধার পথ বেয়ে ইমিগ্রেশনে পৌঁছতে অনেক মিনিট সময় লাগলো।” [উদ্ধৃতি : ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’, ফিরে এসেছি ,পৃষ্ঠা ৮]

এই আত্মজৈবনিক লেখায় অন্যত্র তিনি লিখেছেন :

‘সম্পূর্ণ অচেনা ঢাকার পথে গাড়িতে চলছি এখন। এতদিন পরে দেশে আসছি, মনে মনে জানতাম অনেক কিছুই বদলে গেছে কিন্তু পরিবর্তনটি যে এত ব্যাপকভাবে হয়েছে সমস্ত ধারনার বাইরে!’ [ উদ্ধৃতি : প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠ ১৩] 

উপর্যুক্ত লেখায় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। বিশ শতকের ষাট সত্তর দশকের বাংলাদেশের সাথে একবিংশ শতকের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আধুনিক নগরায়নের ছোঁয়ার স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়। এই নগরায়নের ছোঁয়া সারাদেশেই বিদ্যমান। তার নিজ জন্মভূমি জামালপুর শহরে এই পরিবর্তনের ছোঁয়া এসে লেগেছে। ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ এই আত্মজৈবনিক স্মৃতিচারণমূলক লেখায় জামালপুর শহরের সর্বস্তরের মানুষের কথা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, তাদের পেশা ইত্যাদির নিখুঁত বর্ণনা পড়লে তার একটি সচিত্র আবহ মনের আয়নায় ভেসে ওঠে। লেখক দীর্ঘদিন ধরে সুদূর প্রবাসে বসবাস করেও

পরিবর্তনকে তিনি কিভাবে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন তা অত্যন্ত বিস্ময়কর। 


 এ প্রসঙ্গে গ্রন্থভুক্ত ‘সাকেবুদ্দিন-আলী ইমাম দুলাল-শহীদ’ শীর্ষক স্মৃতিচারণ লেখার অংশবিশেষ তুলে ধরা যাক : 

হো চি মিনের মতো একগুচ্ছ দাড়ি হলো সাকেবুদ্দিনের ট্রেড মার্ক। দাড়ির মর্যাদা সে রাখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।… আমার দুবার জামালপুর থাকার সময় সে অনেকটা আমার পাবলিক রিলেশনের দায়িত্ব পালন করেছে। আমার অনেক পুরনো বন্ধুদের সে খবর দিয়ে আমার কাছে নিয়ে এসেছে। রাস্তার একসাথে হাঁটার সময় একে ওকে ধরে এনে আমাকে বলেছে, দেখেন তো হারুন ভাই একে চেনেন কিনা?

তার একটি প্রেস আছে ওর বাসাতেই। আমি একবার ঘটনাক্রমে ওর বাসায় প্রেস দেখে আশ্চর্য হয়েছি। সেই সিসের টাইপ আর কম্পোজিটরের যুগটির অবসান জামালপুরেও ঘটেছে। ঢং ঢং করে বিকট শব্দের পা দিয়ে (বা বিদ্যুৎ চালিত) ছাপার যন্ত্রের বদলে এখন সবই কম্পিউটার আর ডিস্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ। [উদ্ধৃতি : প্রাগুক্ত, সাকেবুদ্দিন-আলী ইমাম দুলাল-শহীদ, পৃষ্ঠা ১১১]

সৈয়দ সাকিবুদ্দিন সম্পর্কে লেখকের এই পর্যবেক্ষণ পড়ে আমি অভিভূত, বিস্মিত। তার বাসায় আমিও কয়েকবার গিয়েছি, টেলিফোনেও তার সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়। তার সঙ্গে মিশে আমারও এই প্রতিতি হয়েছে। 

জামালপুরসহ বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আমি পড়াশোনা করেছি। এ সময় আমার মনে হয়েছে বিশের ষাট-সত্তর দশকের শিল্পসাহিত্য, আর্থ-সামাজিক হালতক, সমাজ পরিবর্তন প্রভৃতি প্রত্যয়ের সঙ্গে আজকের পরিবর্তনের তুলনামূলক আলোচনার উপাদানের বড়ই অভাব। আবদুল্লাহ আল-হারুনের এসব স্মৃতিকথাসহ মৌখিক স্মৃতিচারণ ইতিহাস চর্চার একটি নতুন পদ্ধতি বলে পরিগণিত হতে পারে। 

কেননা, লিখিত ইতিহাসের উপদান সরকারি নথিপত্র, রেকর্ড, গেজেট প্রভৃতি হলেও স্মৃতিকথাকে অস্বীকার করা যায় না। জামালপুরের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস লিখতে গেলে, ইতিহাস পড়তে গেলে আবদুল্লাহ আল-হারুনের এই গ্রন্থ সহায়ক হতে পারে। আর এ কথা বার বার উচ্চারিত হয় যে, আঞ্চলিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসই জাতীয় ইতিহাসের অংশ। সুতরাং জামালপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমগ্র বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ-এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তি আবদুল্লাহ আল-হারুনের ‘হৃদয় মিশেছে মৃত্তিকায়’ এই আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক ইতিহাস নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। কেননা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস পুণর্নিমাণে আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথার গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে স্মৃতিকথার গুরুত্বকে এই অস্বীকার করা যায় না। বর্তমানে তো বটেই ভবিষ্যতেও এই গ্রন্থ আধুনিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য চর্চায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। গ্রন্থটির জন্য লেখক আবদুল্লাহ আল-হারুন বহু বছর এতদ্দ্বৎ অঞ্চলে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।


লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক।





সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top