উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশনের ৪ দিন পর অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের হেমন্তবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আলাউদ্দিন ও শাহজাদপুর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের জামাত আলীর মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, তিন বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় সূত্রে আলাউদ্দিন ও শারমিনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুরুতে আলাউদ্দিন গণিত বিষয়ে সহায়তা করতেন শারমিনকে। সেই থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের গভীর সম্পর্ক শুরু হয়। শারমিনের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলাউদ্দিন একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। উপায়ান্তর না দেখে শারমিন গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলাউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসেন।
দূর্গানগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর ইসলাম জানান, মেয়েটির অনশনের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শারমিনের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ছেলেপক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে আলাউদ্দিন প্রথমে পলাতক থাকায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত সম্ভব হয়নি। পরে ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট মেম্বার এবাদ আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে মধ্যস্থতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাবিননামা সম্পন্ন করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
বিয়ের পর আলাউদ্দিন ও শারমিন খাতুন জানান, “অনেক ঝামেলার পর আমরা একত্রিত হতে পেরে অনেক আনন্দিত। এখন আমরা চাই, একে অপরকে বুঝে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করতে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।