রৌমারী জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ রোগীরা

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

শফিকুল ইসলাম: রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে জরুরি সেবা চলছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা জ¦র, সর্দি,কাশি, মাথা ব্যথাসহ সব রোগীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

রৌমারী জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ রোগীরা
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ রোগীরা


এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা অনেক রোগীকে চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত যেতে হচ্ছে। ফলে তারা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। চিকিৎসকদের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল দশ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে অবস্থান করে এইসব চিত্র দেখা গেছে।

তবে চিকিৎসকরা রোগীদের তোপের মুখে পড়ায় আগামী রবিবার (১৫ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে জরুরি বিভাগে সকল রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ।


আরও পড়ুন:


মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই অচলাবস্থা চলছে। সাধারণ রোগীদের অতিরিক্ত ভিরের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। এছাড়াও ভর্তি হতে ইচ্ছুক রোগীদের ভর্তি করে নিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেন চিকিৎসকরা। জরুরি সেবার প্রয়োজনীয়তা না থাকা রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ নিয়মবহির্ভুত ভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ ঠে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের বসবাস। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য ৬টি ইউনিয়নের ৩২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থ্পান করা হয়েছে। ওই ক্লিনিকগুলোতে স্থানীয়রা চিকিৎসাসেবা না পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। দীর্ঘদিন থেকে জরুরি বিভাগে সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ যোগদানের পর এই নিয়ম পাল্টে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা উপজেলা গেটে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে দুপুর ২ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রোগী দেখেন। জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াবস্থায় রোগীরা ওই ক্লিনিকগুলোতে যেতেন না। ফলে চিকিৎসকরা তাদের চেম্বারে তেমন কোন রোগী পায় না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎিসকদের বিরুদ্ধে।    


দাঁতভাঙ্গা গ্রাম থেকে আসা মো. ইউনুস আলী বলেন, ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন এটা আমি জাননি না। চিকিৎসার আশায় আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে আসছি। কিন্তু জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা ডা. আরিফুজ্জামান আমার বাচ্চাকে চিকিৎসা না দিয়ে বাহিরে যেতে বলেন। তিনি আরোও বলেন, আমার বাচ্চার শরীরে পক্স বের হওয়ায় যন্ত্রণায় ছটফট করািছল ডাক্তারের সামনেই। আমি বারবার অনুরোধ করার পরেও আমার বাচ্চাকে চিকিৎসা দেয়নি ওই চিকিৎসক। ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার নেই।


সুতিরপাড় গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, যাদের জরুরি সেবা প্রয়োজন, শুধু তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফলে অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা পুণরায় চিকিৎসা চালুর দাবী করছি।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, আমি বর্তমানে বাহিওে আছি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ফেরত যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন রোগী যাতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোজখবর নিয়ে প্রæয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন স্বপন কুমার বিশ^াস বলেন রোগীদের চিকিসৎসা না দিয়ে ফেরত দেওয়া ঠিক হয়নি। তারপরেও আমি এখনই কথা বলছি। 




সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top