ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

লিয়াকত হোসাইন লায়ন: রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়ার চর গ্রামের মানুষদের।

Over 400 houses destroyed by erosion of the monstrous river Jamuna in Islampur
ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের




গত কয়েক দিন থেকেই অসময়ে রাক্ষসী যমুনা ৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে একটি  মসজিদ, প্রায় শতাধিক  একর জমি ও  চার শতাধিক  বসতঘরসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৮ কোটি টাকার সোলার প্যানেল, মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মাদ্রাসা, আটটি মসজিদ, ফসলি জমি, বসতঘরসহ সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা।

দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মন্নিয়ার চর গ্রাম। এলাকাবাসী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেন।

ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন
ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের



স্থানীয়রা বলেন, রাক্ষসী যমুনার ভাঙ্গনে বিগত দিনে গ্রামকে গ্রাম বিলীন হয়ে গিয়েছে। অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আগ্রাসী যমুনা এক মাস আগেও অনেক দূরে ছিল। এখন ভাঙতে ভাঙতে অনেকগুলো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে গিয়েছে। মন্নিয়া গ্রাম ষমুনা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় গত সপ্তাহে কয়েক গ্রামের মানুষ মানববন্ধন করেছি। 


মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় থেকে মাত্র কয়েক শত গজ দূরে নদী। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা না নিলে কয়েক দিনের মধ্যেই বিলীন হয়ে যেতে পারে একমাত্র  ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে প্রায় ২শত ৫০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা না হলে এ অঞ্চলে শিক্ষার মান পিছিয়ে যাবে।

শিক্ষার্থী  শাকিল আহম্মেদ জানায়, এক মাস পর আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা, প্রতিষ্ঠান যদি ভেঙে যায় তাহলে আমাদের পড়ালেখার মারাত্মক ক্ষতি হবে। শাকিল আহম্মেদ মতো একই কথা বলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিশামনি ও শহীদ মিয়া। 

ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন
ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের



দক্ষিণ মন্নিয়া  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার খানাম বলেন- আমার স্কুল থেকে কয়েকশত গজ দূরে নদীর অবস্থান। এই স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাই। 

বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ বলেন-অসময়ে নদীভাঙন আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। এখনই যদি ভাঙন ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, ফসলি জমি ও বসতঘর নদী গ্রাস করে নেবে।

ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের
ইসলামপুরে রাক্ষসী নদী যমুনার ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের



স্থানীয় ইউপি সদস্য মমতাজ আকন্দ বলেন, আমার নিজের বাড়ি গত কয়েক মাস আগে যমুনা নদী ভেঙেছে। এখন কোনোমতে টিকে রয়েছি। যে ভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ফসলি জমিসহ অসংখ্য বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান জানান- ইতিমধ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।



সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন


ইসলামপুর- নিয়ে আরও পড়ুন
প্রাথমিক বিদ্যালয় ফাঁকা: কিন্ডারগার্টেন ও মাদরাসায় উপচে পড়ছে শিক্ষার্থী
প্রাথমিক বিদ্যালয় ফাঁকা: কিন্ডারগার্টেন ও মাদরাসায় উপচে পড়ছে শিক্ষার্থী
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামপুরে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামপুরে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
ইসলামপুরে দিনদিন বেড়েই চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিদিন ৭ তালাক
ইসলামপুরে দিনদিন বেড়েই চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিদিন ৭ তালাক
ইসলামপুরে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর উঠান বৈঠক
ইসলামপুরে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর উঠান বৈঠক
ইসলামপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ
ইসলামপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top