ভারতের
সাথে শেষ ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন তাসকিন। এবার জানা
গেলো, পিঠের পাশের পেশীতে পাওয়া এই চোট একেবারে হালকা নয়। কমপক্ষে সপ্তাহ
তিনেক মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই পেসারকে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিস করতে পারেন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি।
বৃহস্পতিবার
হোটেল ছাড়ার আগে তাসকিন নিজে আশার কথাই শোনাতে চাইলেন। বললেন, দ্রুত ফিরে
আসতে চান তিনি, ‘গত ম্যাচে হালকা ব্যথা টের পাচ্ছিলাম। পরের দিন
প্র্যাকটিসে আমি এই ব্যথাটা পেয়েছি বোলিং করতে গিয়ে। শুরুর দিকেই ফিজিও
আমাকে এমআরআই করতে পাঠায়, সেখানে হালকা সমস্যা পেয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই
ফিট হয়ে যাবো। আমি তো চেষ্টা করবোই। ফিজিওরাও আশাবাদী। নির্ভর করছে
অবস্থার উপর। আমার কন্ডিশনটা কি।’
এই
ধরণের ইনজুরিতে তাসকিন আগেও পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে তার সেরে ওঠার হারও খুব
ভালো। নিজেও সে জন্যই বেশী আশাবাদী, ‘সাইড স্ট্রেইন, বোলিং করতে গিয়ে সাইড
স্ট্রেইন হয়েছে। এর আগেও একবার হয়েছিল। তবে তার চেয়ে ক্ষতিটা কম হয়েছে। আশা
রাখছি, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে আমি সুস্থ হয়ে যাবো।’
নিজের
বিষয় বাদ দিয়ে, দলের দিক থেকে দেখলে আরও একটা অভাবনীয় সিরিজ কাটালেন
তাসকিনরা। সেটাই বলছিলেন, ‘এই সিরিজে অনেক বড় বড় কিছু পাওয়া আছে। যেটা আগে
আর হয়নি। তাছাড়া আমিও ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি। আমার জন্য বড় পাওয়া। শুধু
আমার জন্য না, সারা দেশের জন্যই বড় পাওয়া। ভারত পূর্ণশক্তির দল নিয়ে
এসেছিল। সেখানে আমরা সিরিজ জিতেছি। আমরা আরও ভালো করবো ভবিষ্যতে।’
এই
মোমেন্টামটা ধরে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ভালো কিছু করতে চান
তাসকিন, ‘সবমিলিয়ে অনেক বড় অর্জন আছে। অনেক বড় বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে
খেলছি। দিনের পর দিন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ভালো করছি। সেই সঙ্গে আমরা টিম হিসেবে
ভালো করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব খুশি সিরিজ জেতায়। চেষ্টা করবো দক্ষিণ
আফ্রিকা সিরিজেও ভালো কিছু করার।’