
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতার সংখ্যা কমানো উচিৎ বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ছিল সরকারি, আধা-সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা। এত্ত ভাতা আছে
আমাদের! এগুলো রাইটের মতো হয়ে গেছে, হাত দেয়া যায় না। আমি বাড়ি ভাড়া,
চিকিৎসা, যাতায়াত ও আপ্যায়ন ছাড়া অন্য সব ভাতা উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।’বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত ১৩ মে সর্বোচ্চ ৭৫
হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল বেতন ধরে বেতন কাঠামো সুপারিশ
করে সচিব কমিটি। এখন অর্থমন্ত্রণালয় সচিব কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে
প্রতিবেদনটি চূড়ান্তে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবে।সপ্তম পে-কশিনের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পর্যালোচনার পর একটি
মন্ত্রিসভা কমিটি হয়েছিল । এবার এধরনের কমিটি হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত
করে কিছু বলতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।
মুহিত জানান, আগামী মাসের মধ্যে পে-কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। যখনই এটা চূড়ান্ত হোক না কেন জুলাই থেকেই কার্যকর হবে।স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মুহিত বলেন, পাঁচ বছর পর পর
পে-স্কেল ঘোষণার বিষয়টি এবারই শেষ। একটা স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের
চিন্তা-ভাবনা চলছে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
বেতন-ভাতা সমন্বয় হবে।এদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন অর্থমন্ত্রীর কাছে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল ঘোষণার দাবি
জানান।তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে বৈষম্য দূরীকরণসহ চার দফা দাবি সম্বলিত একটি
স্মারকলিপি দেন। এ বিষয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো নিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা হতাশ। দাবি বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন কর্মসূচি
দিতে বাধ্য হবেন তারা।এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের দাবিগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ
উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালসহ সংগঠনের
অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।