আজ ২৬ জুন
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি
বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী
দিয়েছেন। দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আলোচনা সভাসহ নানা
কর্মসূচি পালন করছে।বিশ্বব্যাপী নির্যাতন বন্ধে ১৯৯৭ সাল থেকে জাতিসংঘে
নির্যাতনবিরোধী দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নির্যাতন একটি অপরাধ। কোনো পরিস্থিতিতেই এই
নির্যাতনকে মেনে নেয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও সরকার পরিচালনা
করছে। আমরা নির্যাতন, নিপীড়ন, সন্ত্রাস নির্মূল করতে আইনের শাসনকে সমুন্নত
রেখেছি। নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করেছি। আইনের প্রয়োগ জোরদার করেছি। আমাদের
সরকার দেশে শান্তিরক্ষা ও নির্যাতন প্রতিরোধে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বর্তমান
বিশ্বে নানা কারণে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ, সংখ্যার
বিচারে নির্যাতনের হার বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাহীন নিরীহ মানুষদের ওপর
ক্ষমতাবান গোষ্ঠী ও শাসকের শোষণ-নির্যাতনের ঘটনা এখন অহরহ। মধ্যপ্রাচ্যের
বিভিন্ন দেশে সংঘাত, জঙ্গিদের হামলা, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের
বর্বর হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আফগানিস্তান, সোমালিয়াসহ বিশ্বের অনেক
দেশেই জঙ্গিদের কারণে নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মত
প্রকাশসহ নানা মৌলিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
মিয়ানমারে
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা এখন বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতিতে পরিণত হয়েছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু ও সরকারের পদ্ধতিগত নির্যাতনের কারণে এসব মানুষ মৌলিক
অধিকার বঞ্চিত। প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে
যাচ্ছে। সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় অসংখ্য গণকবরের সন্ধান মিলেছে।
যেখানে বেশিরভাগই সংখ্যালঘু নিপীড়িত রোহিঙ্গার লাশ মিলেছে।
দিবসটি
উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশে শান্তিরক্ষা ও নির্যাতন প্রতিরোধে
অঙ্গীকারাবদ্ধ। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসের প্রাক্কালে সকল
ধরনের নির্যাতন বন্ধে বিশ্ববাসীকে তিনি আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন।