মানবপাচার রোধে
একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। দুই দেশ পাচার রোধে চুক্তিও করবে।
আঞ্চলিক সংযোগে (কানেকটিভিটি) প্রতিষ্ঠায়ও দুই দেশ সম্মত হয়েছে। দুই দেশের
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মানবপাচার
রাধে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সহসাই চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও থাইল্যান্ডের বিশেষ তদন্ত বিভাগের
মধ্যে এই চুক্তি হলে যৌথভাবে মানব ও মাদক পাচার দমন, তথ্য বিনিময় করা হবে।
যৌথ অভিযানও করা যেতে পারে।
ঢাকা
ও ব্যাংককের মধ্যে প্রথমবারের অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক
বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মহীদুল
হক ও সফররত থাই পররাষ্ট্র সচিব নোরাচিত সিনহাসেনি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি
দলের নেতৃত্ব দেন। বিকালে দুই পররাষ্ট্র সচিব প্রেস ব্রিফিং করেন।
পররাষ্ট্র
সচিব শহীদুল হক প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারকে
নিয়ে গঠিত চার দেশীয় অর্থনৈতিক জোট বিসিআইএম দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
অন্যান্য জোটের সঙ্গে সংযোগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সড়ক ও অন্যান্য
ক্ষেত্রে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে।
থাই
পররাষ্ট্র সচিব জানান, সম্ভাব্য সব অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার
উপযুক্ত সময় এখনই। এই অঞ্চলের পূর্ব ও পশ্চিম এবং উত্তর ও দক্ষিণের
দেশগুলোর মধ্যে করিডোর প্রতিষ্ঠা করা যায়। চীনের কুনমিং-এ দুই দিকের
করিডোরের সংযোগ হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান-এর সঙ্গে
বিসিআইএম যুক্ত হতে পারে। এর মাধ্যমে বাণিজ্য অনেক বেড়ে যাবে। পূর্ব পশ্চিম
ও উত্তর দক্ষিণ করিডোর আসিয়ান দেশগুলোর সংযোগের কেন্দ্র। পূর্ব-পশ্চিম
করিডোর ভিয়েতনামের গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে শুরু হয়ে লাওস হয়ে চীন ও
থাইল্যান্ডকে সংযুক্ত করে। উত্তর-পূর্ব করিডোর সিঙ্গাপুর থেকে শুরু হয়ে
মালয়েশিয়া ও চীনকে সংযুক্ত করে। উভয় করিডোর চীনের কুনমিং-এ যায়। এদিকে
বিসিআইএম করিডোর ও কুনমিং-এ সংযুক্ত হবে। তাই বৃহত্ পর্যায়ে সংযোগ তথা
যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বিসিআইএম ও আসিয়ানকে যুক্ত করলেই তা হয়ে
যাবে।
ব্রিফিং-এ
জানানো হয়, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যয়ের যৌথ কমিশন এ
বছরের শেষে ঢাকায় বৈঠকে বসবে। তখন দুই দেশের মধ্যে মংলা ও চট্টগ্রাম
বন্দরকে সংযুক্ত করতে সড়ক ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, পর্যটনসহ বেশ কয়েকটি
চুক্তি হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার পণ্য থাইল্যান্ডের বাজারে
শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পেয়েছে। আরো ১৫টি পণ্য একই সুবিধা পাবে।
বাংলাদেশে জ্বালানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে থাই
বিনিয়োগ করা হবে।