চিকিত্সার জন্য ঢাকায় আসছেন রাজ্জাক

S M Ashraful Azom
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে সুচিকিত্সার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের কক্সবাজার থেকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
 
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকি জানান, আবদুর রাজ্জাককে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হবে।
 
গত ১৭ জুন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির হাতে অপহৃত হন রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার বিকালে মিয়ানমারের মংডুতে পতাকা বৈঠকের পর রাজ্জাককে বিজিবি প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
 
বৃহস্পতিবার নায়েক রাজ্জাককে দেশে ফেরত আনার পর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদর দফতরে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মিয়ানমার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
 
গত ১৭ জুনের ওই  ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার সময় বিজিবি’র দুইটি ট্রলারে টহল দেয়া হচ্ছিল। নিয়ম অনুযায়ী একটি ট্রলারের সঙ্গে আরেকটি ট্রলারের দূরত্ব সাধারণত দেড়শ’ থেকে দুইশ’ গজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু ঐ দিন টহলের সময় দুই ট্রলারের মধ্যে ৫শ’ থেকে ৬শ’ গজ দূরত্ব ছিল। সামনের ট্রলারটি একটি চোরাকারবারিদের ট্রলার তল্লাশি করার সময় মিয়ানমার থেকে বিজিপি’র একটি ট্রলার এগিয়ে আসে। ঐ ট্রলার থেকে প্রথমে বিজিবি’র ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। বিজিবিও পাল্টা জবাব দেয়। বিজিপি’র গুলি বর্ষণের সময় সিপাহী বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন। বিজিপির ট্রলারটি খুব কাছে এসে বৈঠা দিয়ে বিজিবির সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বিজিপির আরো একটি ট্রলার সেখানে উপস্থিত হয়। বিজিপি’র সদস্যরা নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ট্রলার থেকে উঠিয়ে নেয়। এসময় তারা ট্রলারের মাঝিকেও ধরে নিয়ে যায়। তারা ভেবেছিল, ট্রলার মাঝিও বিজিবি সদস্য। কিন্তু পরে ট্রলারের মাঝিকে তারা ছেড়ে দেয়। তাদের দুই ট্রলার পালিয়ে যাওয়ার পর বিজিবি’র পেছনের ট্রলারটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে। মহাপরিচালক আরো বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় দুই ট্রলারের মধ্যে দূরত্ব কেন বেশি হলো এবং এই ব্যাপারে কোন ত্রুটি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top