এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯: দেখেশুনে এগোতে চান টিটু

S M Ashraful Azom
এতদিন জাতীয় দলের সঙ্গেই ছিলেন। ডাচ কোচ লোডউইক ডি ক্রুইফের সহকারী হিসেবে। আবার বিদেশি কোচ না থাকলে সাইফুল বারী টিটুই ভরসা। বাফুফের কোচ হিসেবে যখন যেখানে ডাক পড়ছে সেখানেই কাজ করছেন। এই তো এবার দায়িত্ব পড়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ঘিরে। আগামী সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের বাছাই আছে। তার আগে আগস্টে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ আসর। দুটি আসরেই বাংলাদেশ থাকছে। সেখানে ভালো ফল করার দিকে দৃষ্টি বাফুফের। তাই কোচ হিসেবে টিটুকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
এবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ভালো করার সুযোগ রয়েছে। একমাত্র উজবেকিস্তান এগিয়ে। পাকিস্তান, ভুটান ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা সমশক্তির দল। তাই এই গ্রুপে ভালো ফল করার সুযোগ বেশি। এখানে অন্তত রানার্সআপ হতে পারলে পরের রাউন্ডে ওঠা সহজ হবে। বাফুফে একটু আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে চাইছে। আজ থেকে ট্রায়ালও শুরু হচ্ছে। মোট তিন বিভাগ থেকে খেলোয়াড় বাছাই করার চিন্তা-ভাবনা। শুরুতে সাভার বিকেএসপিতে যারা আছে তাদের দেখা হবে। তারপর সিলেট বিকেএসপির খেলোয়াড়দের। সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে যারা বয়সসীমার মধ্যে রয়েছে তাদের নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেছেন, ‘যেখানে খেলোয়াড় আছে সেখানেই দেখা হচ্ছে। সাভার কিংবা সিলেটের বিকেএসপিতে খেলোয়াড়রা ট্রেনিংয়ে আছে। তাদের আমরা দেখব। তাদের স্কিলসহ সবকিছুই দেখা হবে। আন্তর্জাতিক আসরের জন্য কতটুকু প্রস্তুত-তা দেখেই ক্যাম্পে ডাকা হবে। এছাড়া প্রিমিয়ার লিগে একাধিক খেলোয়াড় রয়েছে যাদের পারফরম্যান্স ভালো। তাদের নেওয়া হবে। সবাইকে দেখেই তারপর ২৭ কিংবা ২৮ জনের প্রাথমিক তালিকা নিয়ে পুরোমাত্রায় অনুশীলন করার ইচ্ছে আছে।’
ইতোমধ্যে মোহামেডানের ইব্রাহিম, বিপলু, সাইফুল এবং আবাহনীর টুটুল হোসেন বাদশা প্রাথমিক বাছাইয়ে আছেন। এএফসির আসরের আগে প্রায় তিন মাস সময় পাবেন কোচ। গ্রুপে অন্য দল নিয়ে যা বলেছেন টিটু, ‘একই সঙ্গে দুটি আসর। সাফ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন সময় পাওয়া যাবে। আমাদের গ্রুপে একমাত্র উজবেকিস্তান শক্তিশালী দল। র্যাঙ্কিংয়ে বেশ ওপরে। বাকিরা সাফ অঞ্চলের দল। তবে পাকিস্তান, ভুটান কিংবা স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। এখন আমরা কতটুকু প্রস্তুতি নিতে পারি তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। আগেভাগে বলে তো কিছু হবে না। আগেরবার জাতীয় দলে খেলা একাধিক খেলোয়াড় অনূর্ধ্ব-১৯-এ খেলেছে। এবার সেই সম্ভাবনা দেখছি না।
১৯৯৭ কিংবা ১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া খেলোয়াড়দের মূলত খুঁজছি। একটু ভালোমানের হতে হবে। পুরো দল হাতে পাওয়ার পর বলা যাবে আমরা কতটুকু এগোতে পারব। তবে রানার্সআপ হলে তো দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।’ডাচ কোচ নেই। লিগের ফিরতি পর্ব শুরু হবে। সেখানেও জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালন করতে হবে টিটুকে। বললেন, ‘একই সঙ্গে দুটি কাজ করা বেশ কঠিন। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই করব। এছাড়া কিছু করার নেই। বাফুফে হয়তো অন্য চিন্তাও করতে পারে।’

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top