ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মরিচ
চাষে কৃষকদের
লোকসান গুনতে
হয়েছে। ফলন
বাম্পার হলেও
আশা পূরণ
হয়নি নায্য
দাম না
পেয়ে। ফসলের
মাঠ এখন
লাল গালিচার
শোভা পাচ্ছে।
দিগন্তজুড়ে শুধু মরিচের
ক্ষেত। উপজেলার
উঁচু জমিগুলোতে
হয়েছে মরিচের
বাম্পার ফলন।
প্রচণ্ড গরম
আর মাঝে
মাঝে হওয়া
বৃষ্টির মধ্যেই
চলছে মরিচ
সংগ্রহের কাজ।
মসলা জাতীয়
ফসল মরিচের
ন্যায্য দাম
না পাওয়ায়
স্বপ্নভঙ্গ কৃষকদের মনে নেই কোনো
আনন্দ।
গত বছর প্রতি
মণ শুকনা
মরিচ সাড়ে
৬ হাজার
টাকা পর্যন্ত
বিক্রি হয়েছে।
আর এ
বছর তা
বিক্রি হচ্ছে
মাত্র সাড়ে
৩ হাজার
টাকায়। প্রতি
মণ মরিচে
প্রায় ৩
হাজার টাকা
কম দাম
পেয়ে নিরাশ
মরিচ চাষিরা।
উপজেলার করনাই গ্রামের
মরিচ চাষী
নুরুল হক
বলেন, প্রতি
বিঘা জমিতে
মরিচ আবাদে
খরচ হয়েছে
প্রায় ২৩
হাজার টাকা।
এক বিঘা
জমিতে ৬
মণের বেশি
শুকনো মরিচ
সংগ্রহ সম্ভব
নয়। বর্তমানে
মরিচের বাজার
মূল্য সাড়ে
তিন হাজার
টাকা হিসেবে
বিক্রি হওয়ায়
প্রতি বিঘা
মরিচ আবাদে
দুই থেকে
তিন হাজার
টাকা লোকসান
গুণতে হচ্ছে।
ভাউলার হাটে মরিচ
বিক্রি করতে
আসা অনেক
কৃষক ক্ষোভ
করে বলেন,
ধান-গমের
পর এবার
মরিচ চাষে
লোকসান গুণতে
হচ্ছে ।
কৃষকের যাওয়ার
জায়গা কোথায়?
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
মো. মাজেদুল
ইসলাম জানান,
গত বছরের
তুলনায় এ
বছর মরিচ
চাষে রোগ
বালাই খুবই
কম। ফসলের
ফলন ভালই
হয়েছে। ন্যায্য
দাম পেলে
কৃষকরা অনেক
লাভবান হতো।
এর ফলে
মরিচ চাষে
তারা আরও
উৎসাহিত হতো।