বাংলাদেশের বিত্তশালীরা যে তাদের অর্থ গচ্ছিত রাখার জন্য আরও বেশি হারে সুইস ব্যাংককে বেছে নিচ্ছেন, এর জন্য অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাব এবং প্রতিকুল বিনিয়োগ পরিবেশকে দায়ী করেছেন।
মাত্র গতকালই সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশী নাগরিকদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানেই প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
মাত্র গতকালই সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশী নাগরিকদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানেই প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
আগের বছর এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৭২ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এবং বিনিয়োগের যথাযথ পরিবেশ না থাকায় দেশের বাইরে, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকগুলোতে গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে রাখা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, “বিনিয়োগের পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা আর টাকাটা কি পথে আয় করা হলো, তার ওপর নির্ভর করে কেন বাংলাদেশীদের জামানত সুইস ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে। যেভাবেই টাকা আয় করা হোক, অনেক সময় বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও হয়ত এখানকার ব্যাংকে অর্থ রাখতে একজন নিরাপদ বোধ করছে না, সেক্ষেত্রে অর্থ দেশেরে বাইরে যাবার প্রবণতা তৈরি হয়।”
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণেও সুইস ব্যাংকগুলোতে যাওয়া অর্থের পরিমাণ বেড়েছে।
কেবল বাংলাদেশীদের রাখা অর্থের পরিমাণই নয়, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে সারাবিশ্ব থেকে অর্থ জমা রাখার পরিমাণ বেড়েছে।